বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৬ অর্থবছরে ৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই পূর্বাভাস আগের বছরের চেয়ে সামান্য বেশি।
এডিবি তাদের সর্বশেষ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পোশাক রপ্তানি ঠিক আছে, কিন্তু দেশের মধ্যে চাহিদা কমে থাকার কারণে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধীর হবে। এর পেছনে রয়েছে চলমান রাজনৈতিক পরিবর্তন, বারবার বন্যা, শিল্পখাতে শ্রম বিরোধ এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি।
২০২৪ অর্থবছরে ৪ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। তবে পরের অর্থবছরে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এডিবি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জেওং বলেন, ভবিষ্যতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্ভর করবে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা, যেন প্রতিযোগিতা বাড়ে ও বিনিয়োগ আসে। এছাড়া নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাংলাদেশের বাণিজ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলবে তা এখনো দেখা বাকি, এবং ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত আছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি যোগ করেন, ২০২৬ অর্থবছরে জন্য কিছু ঝুঁকি এখনও আছে। ব্যবসায়িক অনিশ্চয়তা, ব্যাংকের দুর্বলতা, এবং নীতিগত ত্রুটি অগ্রগতিতে বাধা দিতে পারে। তাই সঠিক অর্থনৈতিক নীতি ও দ্রুত সংস্কার করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এডিবি জানিয়েছে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ২০২৪ অর্থবছরের ৯ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ২০২৫ অর্থবছরে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। কারণ পাইকারি বাজারে কম প্রতিযোগিতা, বাজার তথ্যের অভাব, সরবরাহ সমস্যা, এবং টাকার দুর্বলতা।