শিরোনাম
◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ ◈ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব এপিএইচআরের ◈ একাদশে ভর্তি: শেষ ধাপের ফল প্রকাশ, কলেজ পাননি ৫২৪০ শিক্ষার্থী ◈ চিকিৎসার জন্য নুরকে বিদেশ নেওয়া হবে কি না, জানালেন ঢামেক পরিচালক ◈ জাতীয় পার্টির কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন ◈ একীভূতকরণে এগিয়েছে দুই ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এখনও সময় চায় ◈ স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড বিশ্ববাজারে ◈ ইতিহাস গড়লেন লিটন দাস ◈ এক দিনে ৪৪ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ◈ ভারতীয় উদ্যোক্তারা শুল্ক আরোপকে বলছনে ‘বাণজ্যিকি নষিধোজ্ঞা’, রপ্তানি ৭০% হ্রাসের শঙ্কা

প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:৪৬ রাত
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ৩৮ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে এস আলম!

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে এস আলম গ্রুপ। বিপুল এই অর্থ বেনামি ঋণের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হয়, যার মূল সুবিধাভোগী ছিলেন গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম। এসব অর্থের বড় অংশ এরই মধ্যে পাচার হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

আবদুল মান্নান বলেন, তিনটি পৃথক অডিট নিশ্চিত হয়েছে যে এস আলম গ্রুপ বেনামি ঋণের মাধ্যমে ৩৮ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। নিজের নামে ঋণ নেওয়ার সুযোগ না থাকায় তারা বেনামি পথে অর্থ নেন। এই ঋণ আদায় না হওয়ায় ব্যাংকটি মারাত্মক সংকটে পড়েছে।

চেয়ারম্যান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্তের সঙ্গে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক একমত। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতেই হবে।

ব্যাংকখাত সংশ্লষ্টিদের সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকও রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, আলাদা করে এ ধরনের ব্যাংকগুলো টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তবে এ সিদ্ধান্ত ঘিরে ব্যাংকগুলোর কর্মীদের চাকরি হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি আমানতকারীরাও টাকা ফেরত পাওয়ার নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, একীভূতকরণের পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এতে যেমন আমানতকারীদের স্বার্থ নিশ্চিত হবে, তেমনি কর্মীদের চাকরিও সুরক্ষিত থাকবে। একই সঙ্গে যাদের অনিয়ম ও লুটপাটের কারণে ব্যাংকগুলো দুর্বল হয়েছে, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়