শিরোনাম
◈ ভারতের বিধিনিষেধ সত্ত্বেও জুলাইয়ে বাংলাদেশি রপ্তানি আয় বেড়েছে ৪% ◈ কলকাতার বাণিজ্যমেলায় বাংলাদেশি স্টল, মিলছে সাড়া! ◈ বাংলাদেশে চাল রপ্তানির তোড়জোড় ভারতীয় সরবরাহকারীদের ◈ এবার বাংলাদেশ হয়ে আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি করতে চায় ভারত: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ যুদ্ধবিমান নিয়ে হাজির ট্রাম্প,ঘোল খাওয়ালেন পুতিন! ভিডিও ◈ ফারুকীর সর্বশেষ অবস্থা জানালেন তিশা ◈ প্রধানমন্ত্রী হলে থাকা যাবে না দলীয় প্রধানের পদে, জুলাই সনদের খসড়ায় আরও যা আছে ◈ হাসনাত-সারজিসসহ ৫ নেতার শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার ◈ দেশে আরেকটা বিপ্লব হতে পারে : রেজা কিবরিয়া ◈ ফরিদপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে পালিয়ে গেল কসাই!

প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৩:৪৩ রাত
আপডেট : ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার বাংলাদেশ হয়ে আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি করতে চায় ভারত: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন

ভারতীয় পণ্যে ইতোমধ্যেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। দেশটির ওপর আরো ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকার বাজারে রপ্তানি করতে সমস্যায় পড়ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। চড়া শুল্কের কারণে বিপাকে পড়েছে ভারতীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। তবে কেউ কেউ কৌশলে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করেছেন। তারা যোগাযোগ করছেন বাংলাদেশের সঙ্গে। মূলত এই সংকট কাটাতে তারা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে আমেরিকায় পণ্য রপ্তানির পরিকল্পনা করছেন।

ভারতের পণ্যে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাণিজ্য সমঝোতা না হলে ২৭ আগস্ট থেকে তা কার্যকর হতে পারে। বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বাকি দেশগুলোর ওপরও ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেছেন। বাংলাদেশের পণ্যে মার্কিন শুল্ক এখন ২০ শতাংশ, চীনের পণ্যে ৩০ শতাংশ। ৫০ শতাংশের ঘোষণা কার্যকর হলে ভারতের শুল্কের হারই হবে সর্বোচ্চ। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের বিভিন্ন বাজারে আমেরিকা থেকে আসা ক্রয়াদেশগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছে।

মার্কিন ক্রেতারা হয় ভারতীয় ক্রয়াদেশ স্থগিত করছেন, নয়তো একেবারে বাতিলের কথা বলছেন। বিকল্প হিসেবে কম শুল্কের দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন তারা। এর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বহু আমেরিকান সংস্থা বাংলাদেশের কারখানায় পোশাক তৈরির ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভারতের বাতিল করা ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে যাচ্ছে। এমনকি ভারত থেকে বড় ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। দীর্ঘ মেয়াদে মার্কিন বাজার ধরে রাখার কৌশল হিসেবে বাংলাদেশকে মাঝে রেখে এগোতে চাইছেন তারা। বাংলাদেশের শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ভারত থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের ওপর শুল্ক তুলনামূলক কম থাকায় আমেরিকা থেকে ক্রয়াদেশ দিন দিন বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কারখানায় শ্রমিকরা হিমশিম খাচ্ছেন। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) একজন পরিচালক জানিয়েছেন, গত বছরের চেয়ে এ বছরের ক্রয়াদেশ কয়েক গুণ বেড়েছে। এতে রপ্তানির পরিমাণও বাড়বে। কিন্তু তা কতটা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। কারণ, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্যচুক্তি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যদি পরে আবার শুল্ক কমে যায়, তাহলে এই মার্কিন ক্রেতারা ভারতের ব্যবসায়ীদের কাছে ফিরে যেতে পারেন।

এদিকে ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণার পর চীনের অনেক বিনিয়োগকারীও বাংলাদেশের বাজার কাজে লাগাতে চাইছেন। পোশাক খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, চীনের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে পোশাক তৈরির কারখানা গড়তে আগ্রহী। সেই অনুযায়ী বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়