অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাংকের ঋণখেলাপিরা অংশ নিতে পারবেন না। তবে রাজনীতিকেরা যদি উৎসাহ দেন যে টাকাপয়সার বিনিময়ে মনোনয়ন দেবেন ও ভোট দেবেন, তাহলে তো অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কিছুই করা যাবে না। অর্থ উপদেষ্টা এ-ও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে আজ বুধবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘ইউ পেনশন অ্যাপ’ উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা এ কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা আজ অ্যাপটির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দীন খান, সদস্য গোলাম মোস্তফা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রচলিত আইনেই ঋণখেলাপিদের নির্বাচন করতে বিধিনিষেধ আছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ১২ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে, কোনো ঋণখেলাপি ব্যক্তি জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার যোগ্য হন না। ফলে খেলাপি হলে কেউ প্রার্থী হতে পারেন না। তবে এ বিধানের অপব্যবহার হয় প্রতি নির্বাচনের আগেই।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সব সময় বলি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। নির্বাচন কমিশনের উচিত ঋণখেলাপিদের শনাক্ত করা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আদালতের স্টে অর্ডার নিয়ে। মহীউদ্দীন খান আলমগীর (আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী) তো ঋণখেলাপি হয়েও পাঁচ বছর কাটিয়ে দিয়েছিলেন।’
আগামী নির্বাচনে কালোটাকা রোধে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এখনো আমাদের কাছে বিষয়টি আসেনি। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন চিন্তা করবে। তবে কালোটাকার ক্ষেত্রে দুটি বিষয়। একটি হচ্ছে উৎস, আরেকটি প্রক্রিয়া। উৎসটা আগের চেয়ে মোটামুটি বন্ধ হয়েছে। আগে তো ব্যাংকের মালিক, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক, সংবাদপত্রের মালিক, ফ্ল্যাটের মালিক সব একজনই ছিল। কিন্তু এখন তা হচ্ছে না। এখন মোটামুটি চেক অ্যান্ড ব্যালান্স (ভারসাম্য) হচ্ছে।’ উৎস: প্রথম আলো।