শিরোনাম
◈ দগ্ধ শরীরে শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করা সেই শিক্ষিকার মৃত্যু ◈ রক্তের জন্য মাইকিং : বার্ন ইউনিটে কান্নায় ভারী পরিবেশ, স্বজনদের আহাজারি ◈ পোড়া বাচ্চাটি দৌড়াচ্ছে সবাই ভিডিও করছে কিন্তু ধরছে না! ◈ শাসক পাল্টিয়েছে, কিন্তু শাসনের চরিত্র বোধহয় পাল্টায়নি: তারেক রহমান ◈ আমার বলার কোনো ভাষা নেই, আগুনে পুড়ে যাওয়া শিশুদের মা-বাবাকে আমরা কী জবাব দেব: ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা ◈ পাইলট বিমানটি ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন: আইএসপিআর ◈ মা, আমার সব জ্বলে’ — স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দগ্ধ ইউশা ◈ সাগারিকার এক হালিতে বিধ্বস্ত নেপাল, সাফে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ◈ সুন্দরবনের উপকূলে চার শতাব্দীর পুরনো কালীবাড়ি-শিববাড়ি পরিণত হতে যাচ্ছে প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যে ◈ বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে বর্ষায় প্রাণ ফেরে বাধালের নৌকার হাটে

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০২৫, ০৮:১২ রাত
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গবেষণা ও গবেষক বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে চাই: বিইপিআরসি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল (বিইপিআরসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন এনডিসি বলেছেন, আমরা গবেষণা ও গবেষক বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে চাই। এখানে একাডেমিয়া এবং শিল্পের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলার কাজ করছি। তবে একথা সত্যি যে, বাংলাদেশের শিল্প সরকারের ওপর নির্ভরশীল, গবেষণা ও উন্নয়ন নিয়ে তাদের চিন্তা তেমন আছে বলে মনে হয় না।

এই বাস্তবতা থেকে বের হয়ে আসা দরকার। কারণ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) গবেষণার জন্য মাত্র ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা তহবিল দিয়ে থাকে। তাদের এই টাকা দিয়ে গবেষণা করা সম্ভব নয়, বড়জোর স্ট্যাডি পেপার হতে পারে। কালচারটা পরিবর্তন জরুরি। সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর রমনায় বিইপিআরসির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা তুলে ধরেন তিনি।

বিইপিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা গবেষণা তহবিল দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। প্রাথমিকভাবে ৪ কোটি টাকা পর্যন্ত তহবিল দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। যে কেউ আমাদের এখানে আবেদন করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে আইডিয়া জমা দিতে পারেন। একটি নির্দিষ্ট বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। এখানে গবেষক এবং জুরি প্যানেল কেউ কাউকে জানার সুযোগ নেই। দেশি-বিদেশি জুরিরা বিষয়ের বিবেচনায় মূল্যায়ন করে থাকেন।

তিনি বলেন, আমরা শুধু গবেষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছি না। উদ্ভাবন কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে। বুয়েট যে ইজিবাইক তৈরি করেছে, আমরা সেখানে অর্থায়ন করেছি। আমরা চাই প্রায়োগিক গবেষণা চলুক, কোথাও কোন ইনোভেশন কিছু থাকলে আমাদের নজরে আনার অনুরোধ থাকল।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ৯ বছর বয়স হয়েছে বিইপিআরসির, অথচ আমি নিয়োগ পাওয়ার আগে পর্যন্ত জানতামনা এই ধরণের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জনগণ এর সম্পর্কে অবগত নয়। নিজস্ব জনবল বলতে মাত্র ২ জন ড্রাইভার রয়েছে, আর সবই চলছে ডেপুটেশনে। ডেপুটেশন থাকা কর্মকর্তা একটা সময় পরে যখন চলে যাচ্ছেন তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। এজন্য নিজস্ব জনবল থাকাটা খুবই জরুরি। অবশ্য সে কাজটিও শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে বিইপিআরসির সদস্য (অন্ট্রাপ্রনারশিপ) ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা পত্রিকায় দেখলাম জামালপুরে একটি ছেলে প্লাস্টিক থেকে জ্বালানি তেল তৈরি করছে। আমরা ডেকে তার সঙ্গে কথা বলেছি, কিভাবে কাজে লাগানো যায়। তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৩টি গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৯টি সমাপ্ত হয়েছে, ৪টি চলমান রয়েছে। বর্জ্য থেকে বায়োকল উৎপাদন, কম গতির বাতাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সাশ্রয়ী সিনক্রোফেজর ডিভাইস, প্রয়োরিটি লোড ম্যানেজমেন্ট ভিত্তিক স্মার্ট মিটার, সাবস্টেশন রিমোর্ট মনিটরিং প্রায়োগিক ক্ষেত্রে সফলভাবে ব্যবহারযোগ্য।

এনার্জি হারভেস্টিং গ্লাস, বর্জ্য থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় বিগ ডাটার প্রয়োগ, সৌর শক্তি ব্যবহার করে পানি থেকে হাইড্রোজেন উৎপাদন সংশ্লিষ্ট গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এনার্জি হারভেস্টিং গ্লাস সফল হলে ভবনের জানালার গ্লাস থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এসব প্রকল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ইউনিট ভিত্তিক সমস্যার স্থানীয় সমাধান বের করতে। যে কেউ যে কোনো সময়ে তাদের প্রস্তাবনা জমা দিতে পারবেন। এজন্য কোন ডেট লাইন নেই।

বিইপিআরসির গবেষণা কার্যক্রম তুলে ধরে পরিচালক (ইনোভেশন) প্রকৌশলী হাছান মাহমুদ বলেন, মানব বর্জ্য থেকে গ্যাসোলিন, ডিজেল ও এভিয়েশন ফুয়েল উৎপাদনের দারুণ সম্ভাবনা দেখছি। এতে বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, মানসম্মত প্রস্তাবনার অনেক ঘাটতি রয়েছে। হয়তো এমন হতে পারে অনেকেই আমাদের সম্পর্কে অবগত না।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) প্রধান প্রকৌশলী (পিঅ্যান্ডডি) গোবিন্দ চন্দ্র বলেন, আমাদের দেশে বছরে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার এয়ারফিল্টার আমদানি করা হয়। আয়তন বেশি হওয়ায় পরিবহন খরচ অনেক বেশি। পরিবহন খরচের টাকা বিনিয়োগ করে এয়ার ফিল্টার উৎপাদন কারখানা স্থাপন করা সম্ভব। অথচ বছরের পর বছর ধরে আমদানি করে যাচ্ছি। এ রকম অনেক বিষয় রয়েছে।

সেমিনারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সচিব নজরুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়, স্রেডা, ডিপিডিসি, তিতাস গ্যাসসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়