শিরোনাম
◈ জাতীয় পার্টি-এনসিপি বিরোধের কারণ কী? ◈ ড. ইউনূসের ব্রিটেন সফর: রাজা চার্লসের হাত থেকে পুরস্কার, সম্ভাব্য বৈঠক কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে ◈ শেষ পর্যন্ত স্বপ্নপূরণ! ১৮ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে কোহলির বেঙ্গালুরুর শিরোপা জয় ◈ শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল ◈ সংস্কারের প্রত্যাশার তুলনায় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়সীমা যথোপযুক্ত না: আইন উপদেষ্টা ◈ এবার মসজিদে আজান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইল, গাজায় ৮২৮টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস! ◈ পল্লীবিদ্যুৎ এসোসিয়েশনের টানা অবস্থান কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শঙ্কা! ◈ ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি সাইফুল আলমের সম্পত্তি জব্দের আদেশ ◈ টাকা পাচারকারীরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান, ধরা কঠিন: সালেহউদ্দিন আহমেদ ◈ রোহিঙ্গা সংকট এবং চলমান অর্থায়ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা

প্রকাশিত : ০২ জুন, ২০২৫, ১১:১৪ দুপুর
আপডেট : ০৩ জুন, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারের ব্যাংক ঋণ বেড়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা!

আয় ঠিকমতো না বাড়ায় এবং সঞ্চয়পত্র ও বৈদেশিক উৎস থেকে পর্যাপ্ত ঋণ না পেয়ে সরকার ব্যাংক খাত থেকেই বাড়তি অর্থ নিচ্ছে। চলতি অর্থবছরের ২১ মে পর্যন্ত সরকারি নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা, যা বছরের শুরুতে ছিল অনেক কম।

বিশ্লেষকদের মতে, রাজস্ব আদায় কম, সঞ্চয়পত্র থেকে অর্থপ্রাপ্তি হ্রাস এবং বৈদেশিক ঋণছাড় কমে যাওয়ায় সরকার বাধ্য হয়ে ব্যাংক খাত থেকে বেশি ঋণ নিচ্ছে।

গত জানুয়ারি পর্যন্ত যেখানে এই ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৩ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। এদিকে, আগামী অর্থবছরের জন্য সরকারের ঋণ লক্ষ্য প্রাক্কলিত মূল বাজেটের তুলনায় ২৫ শতাংশ কমিয়ে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকায় নির্ধারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে যেখানে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, সেখানে সংশোধিত বাজেটে তা ৯৯ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি বলেছেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের ঋণ সীমিত রাখতে চলতি অর্থবছরের জন্য ৯০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে রাখা হবে।'

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ২১ মে পর্যন্ত সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১ লাখ ১৬ হাজার ২১ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এ সময়ে ৫৬ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা পুরোনো দেনা পরিশোধ করা হয়েছে, ফলে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের ঋণের পরিমাণ ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা গত জুন শেষে ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।

জানা গেছে, বাজারে মুদ্রার সরবরাহ কমাতে এবং ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তার আগের দায় শোধ করছে। ফলে টানাপড়েনে থাকা ব্যাংকের টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে যাচ্ছে। এই সময়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২৯ হাজার ৪১০ কোটি টাকা প্রদান করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, 'অর্থবছরের শেষ সময়ে সরকারের ঋণ বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা, কারণ বাকি বিলগুলো পরিশোধের জন্য তৎপরতা বাড়ে। তবে বর্তমান সরকারের ঋণ এখন পর্যন্ত সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক কম।'

এছাড়া, বর্তমানে সরকার ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণ করছে, তবে আগের বকেয়া ঋণ এবং সুদ পরিশোধের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। এর পাশাপাশি, সরকারের চলতি ব্যয় প্রতি বছর বাড়ছে, যেমন বেতন-ভাতা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয় মাত্র ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক কম। আবার, সঞ্চয়পত্রের ঋণ কমে যাওয়ায় সরকারের ঋণ পরিমাণ আরো বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরের জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, আর আগামী অর্থবছরে এটি ৬ শতাংশের নিচে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। গত এপ্রিল শেষে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার বেশি হলে সাধারণ মানুষের সঞ্চয় ক্ষমতা কমে যায়, যার প্রভাব সঞ্চয়পত্রের বিক্রি এবং ব্যাংক আমানতের প্রবৃদ্ধিতে পড়ছে। গত বছর ব্যাংক আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সূত্র: সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়