নিজস্ব প্রতিবেদক : শিল্পে গত বছরের তুলনায় এবছর ২১ শতাংশ গ্যাস বেশি সরবরাহ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল মেয়াদে শিল্পে গ্যাস সরবরাহের গড় পরিমাণ দৈনিক ৮২৩ মিলিয়ন ঘনফুট। আর চলতি বছরে একই সময়ে (জানু-এপ্রিল-২০২৫) ৯৯৭ মিলিয়নঘনফুট গ্যাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। সোমবার (২৬ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করেছে পেট্রোবাংলা। শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠনসমুহের বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য পেট্রোবাংলার নজরে এসেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহের প্রকৃত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে জানুয়ারি-এপ্রিল-২০২৪ এবং জানুয়ারি-এপ্রিল-২০২৫ মেয়াদে শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্যাপটিভ (বিদ্যুৎ উৎপাদনে) ও শিল্পে গ্যাস সরবরাহের চিত্র তুলে ধরা হয়।
শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য গত বছরের তুলনায় ৬টি অতিরিক্ত এলএনজি কার্গো আমদানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার আমদানি মূল্য প্রতি ঘনমিটার প্রায় ৬৫ টাকা। উল্লেখ্য শিল্প ও ক্যাপটিভ শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের মূল্য যথাক্রমে ৩০ (ত্রিশ) টাকা ও ৩১.৫০ (একত্রিশ টাকা পঞ্চাশ পয়সা)। অর্থাৎ অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহে জন্যপ্রতি ঘনমিটারে সরকারকে ৩৫ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। অতিরিক্ত এলএনজি আমদানি ও শ্রেণি ভিত্তিক বণ্টন পরিববর্তন করার ফলে আগামী ২৮মে-২০২৫ থেকে দৈনিক আরো ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ করা হবে। সরকার শিল্পে গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে তৎপর ও দ্রুতব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে সকল বিভ্রান্তির অবসান ঘটবে বলে বিবৃতিতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য রোববার শিল্প মালিকরা বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর অনুরোধ করেন। গ্যাস সংকটের কারণে তাদের উৎপাদন ধসের শঙ্কা প্রকাশ করেন। এর পরিপেক্ষিতে সঠিক হিসাব তুলে ধরেছে পেট্রোবাংলা।