শিরোনাম
◈ ‘নাম লেখালেই নম্বর’ যুগ শেষ : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনকোর্সে নম্বর পেতে বাধ্যতামূলক ৬০% উপস্থিতি ◈ ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে পর্যায়ক্রমে কারখানা ছুটি দেয়াসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত ◈ জুনে রিজার্ভ দাঁড়াবে ৩০ বিলিয়ন ডলার : গভর্নর ◈ বাংলাদেশ - পাকিস্তান সি‌রি‌জের নতুন সূচি প্রকাশ ◈ এবার টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনার নামে করা মামলা ৪৮ ঘণ্টার মাথায় প্রত্যাহার, কারণ যা জানাগেল ◈ ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাবাহিনী প্রধান ◈ দেশের বাজারে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম ◈ দুই মামলায় ব্যারিস্টার সুমনকে কেন জামিন নয়, হাইকোর্টের রুল ◈ নুরের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ ডিএনসিসির, জবাব দিল গণঅধিকার পরিষদ ◈ চাকরিতে শৃঙ্খলা ফিরাতে নতুন অধ্যাদেশ, কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০২৫, ১০:০৬ রাত
আপডেট : ২২ মে, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

কালো টাকা সাদা করার সব বিধান বাতিলের দাবি টিআইবির

নিজস্ব প্রতিবেদক : অধ্যাদেশের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সব ধরনের সুযোগ বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুবিধা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাতিল করেছিল। তারপরও এখনো কিছু দুর্নীতিসহায়ক, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক বিধান রয়ে গেছে। তাই অনতিবিলম্বে এই সুবিধা বাতিলের জন্য অর্থ উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২১ বার বিভিন্ন সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে। এ ধরনের অনৈতিক, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক সুবিধা করদাতাদের কর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে, যা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি দুর্নীতির বিস্তার ঘটায়। বিগত সরকার গত অর্থবছরের সর্বশেষ বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুবিধা দিয়েছিল।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আয়কর আইন ২০২৩ এ এখনো অপ্রদর্শিত টাকা বৈধ করার নামে কালো টাকার বৈধতা প্রদানের তিনটি বিধান বিদ্যমান আছে, যা এখনো কালো টাকার বৈধতার পথ খুলে দেয়। যা সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এসব বিধান অবিলম্বে অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে গঠিত কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, বৈধ উৎস ছাড়া আয়ের বৈধতা দেওয়ার ক্ষেত্রে যেকোনো প্রক্রিয়া স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। কারণ অতীতে দেখা গেছে, বারবার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েও রাজস্ব আদায়ে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যায়নি। তাতে বরং যে নৈতিক ক্ষতি হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের প্রথম বাজেটে দৃষ্টান্ত স্থাপনের অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সব সুযোগ বাতিল করবে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবেও অর্থ উপদেষ্টার কাছে এই আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়