শিরোনাম
◈ ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে পর্যায়ক্রমে কারখানা ছুটি দেয়াসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত ◈ জুনে রিজার্ভ দাঁড়াবে ৩০ বিলিয়ন ডলার : গভর্নর ◈ বাংলাদেশ - পাকিস্তান সি‌রি‌জের নতুন সূচি প্রকাশ ◈ এবার টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনার নামে করা মামলা ৪৮ ঘণ্টার মাথায় প্রত্যাহার, কারণ যা জানাগেল ◈ ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাবাহিনী প্রধান ◈ দেশের বাজারে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম ◈ দুই মামলায় ব্যারিস্টার সুমনকে কেন জামিন নয়, হাইকোর্টের রুল ◈ নুরের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ ডিএনসিসির, জবাব দিল গণঅধিকার পরিষদ ◈ চাকরিতে শৃঙ্খলা ফিরাতে নতুন অধ্যাদেশ, কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ◈ পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ না দেওয়ায় বিশৃঙ্খলা করছেন নুর, অভিযোগ ডিএনসিসির

প্রকাশিত : ১৯ মে, ২০২৫, ১২:৩০ দুপুর
আপডেট : ২২ মে, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাণিজ্য ঘিরে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে বাংলাদেশ-ভারত!

বণিক বার্তা প্রতিবেদন: বন্দর ব্যবহার করে অন্য দেশে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিয়েছিল ভারত। আকস্মিকভাবে গত ৮ এপ্রিল তা বাতিল করে দেয়া হয়। তার এক সপ্তহ পরই অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ ঘোষণা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সর্বশেষ গত শনিবার স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকসহ আরো বেশকিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত সরকার, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়। এর ফলে বন্দরে বন্দরে আটকা পড়ে বাংলাদেশী পণ্যের ট্রাক। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত পাঁচ দশকের সম্পর্কে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে এভাবে আর কখনই একের পর এক পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিতে দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ ও ভারতের অখণ্ড ভূখণ্ড। তাই পারস্পরিক নির্ভরশীলতাও অনেক বেশি, যার বাস্তবায়ন ঘটে বাণিজ্যের মাধ্যমে। তবে প্রবল আন্দোলনের মুখে গত আগস্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে প্রতিবেশী দেশ দুটির সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। কয়েক মাস ধরে চলা বাগ্‌যুদ্ধের পর বাংলাদেশ-ভারত একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপড়েন এখন সরাসরি প্রভাব ফেলছে ব্যবসা-বাণিজ্যে, বিশেষ করে পোশাক শিল্পে; যার মূল্য গুনতে হচ্ছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ক্রমেই বড় হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে কখনো কখনো অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও শিল্প সুরক্ষার অজুহাতে ভারত তুলা, পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ করেছে। পরে তা আবার চালুও হয়। আবার বাংলাদেশী কাঁচা পাটে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপও করে ভারত। এদিকে বাংলাদেশ আগেও ভারতের সুতা আমদানিতে বেশ কয়েকবার নিষেধাজ্ঞা জারি করে পরে আবার তা তুলেও নিয়েছে।

বাংলাদেশ ২০০৩ সাল থেকে ভারতে সাবান রফতানির অবাধ সুযোগ পেয়ে আসছিল। ফলে দেশটিতে এ পণ্য রফেতানির পরিমাণ ৩ মিলিয়ন ডলারে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু ভারতীয় শুল্ক বিভাগ ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সাবান আমদানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে অবশ্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে তা স্থগিত করা হয়। ২০১০ সালে পুনরায় বাংলাদেশ থেকে সাবান আমদানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটির শুল্ক বিভাগ।

বাংলাদেশে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রেও প্রায়ই ভারতের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন চাল, পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ, আলু ইত্যাদির ওপর আকস্মিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে বাংলাদেশকে সংকটের মুখোমুখিও হতে হয়েছে অনেকবার। কেননা প্রতিবেশী দেশটি থেকে আমদানীকৃত বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তা ও শিল্পোৎপাদনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। এছাড়া পণ্যটি রফতানি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময় শুল্কারোপ ও সর্বনিম্ন রফতানি মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয় দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশ থেকে আমদানীকৃত পাটপণ্যের ওপর ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি ভারত সরকার সর্বপ্রথম অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্কারোপ করে। পরে সানসেট রিভিউয়ের মাধ্যমে ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে নতুনভাবে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্কারোপ করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পাটপণ্য আমদানিতে ভারতের আমদানিকারকদের কোম্পানি ভেদে প্রতি টনে শূন্য থেকে ৩৫১ দশমিক ৭২ ডলার অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক দিতে হয়।

এদিকে ২০১২ সালের ৫ মার্চ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে তাদের তুলা রফতানির ওপর হঠাৎ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ঝুঁকির মুখে পড়ে। যদিও পরে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তবে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য রফতানির ওপর আকস্মিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের এ প্রবণতা আস্থাহীনতাকে আরো ঘনীভূত করছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

তাদের মতে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের অন্যতম বৃহৎ বাজার বাংলাদেশ। আবার ভারত বাংলাদেশের জন্য কাঁচামাল, যন্ত্র, যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যে আমদানি নির্ভরশীলতা আছে। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতি দুই দেশের জন্যই কাম্য নয়। তবে বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বিবেচনায় অচিরেই এ পরিস্থিতির পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন না তারা।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ভারত ২০১১ সাল থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। ফলে দেশটিতে বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি চলে গেছে। বর্তমান পাল্টাপাল্টি অবস্থান কারো জন্যই ইতিবাচক না। বাংলাদেশ ভারতের ওপর অনেক পণ্যের ক্ষেত্রেই নির্ভরশীল। আবার ভারতের পণ্য রফতানির গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের ওপরও ভারতের নির্ভরশীলতা রয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় বিদ্যমান পরিস্থিতি কোনোভাবেই কাম্য না। বৃহৎ পরিসরে বিষয়গুলোকে দেখে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমাদের পারস্পরিক সমস্যা নিরসন করে বাণিজ্য সচল করার পথে হাঁটতে হবে। বিভিন্ন ধরনের অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা আমরা একে অন্যের ওপর সৃষ্টি করছি পাল্টাপাল্টিভাবে। যেটা দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতির জন্য কাম্য নয়।’

মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, ‘মাতারবাড়ী বন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্য অবকাঠামোতে গত দেড় দশকে বিনিয়োগ হয়েছে। আমাদের অনেক অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। এগুলোর রিটার্ন যদি আমরা ভালোভাবে পেতে চাই, বিশেষত ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বাণিজ্য যদি বাংলাদেশের মাধ্যমে হয় তা বড় আয়ের উৎস হতে পারে। কিন্তু বিরাজমান পরিস্থিতিতে ওই কর্মকাণ্ডগুলো বাধাগ্রস্ত হবে। বিনিয়োগের রিটার্নের ওপর প্রভাব পড়বে।’

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাণিজ্য বিভাগের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে (এপ্রিল-ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য ছিল প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলারের। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে তা ১২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতের আমদানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আবার বাংলাদেশে পণ্য রফতানিতে ভারতের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই সরকারের মধ্যে বিরাজমান টানাপড়েনের সম্প্রসারণ দেখা যাচ্ছে, যার প্রভাব দুই দেশের জন্যই নেতিবাচক। তবে তুলনামূলক ছোট দেশ বলে বাংলাদেশের ক্ষতিটাই বেশি। ব্যবসায়ীদের দাবি, নির্বাচিত সরকার ছাড়া এ অবস্থার পরিবর্তন মুশকিল।

ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দুই দেশের সরকারের মধ্যে বিরাজমান টানাপড়েন অস্বীকার করার উপায় নেই। সর্বশেষ ভারত পোশাকসহ অন্যান্য কিছু পণ্য আমদানিতে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটার প্রভাব ইতিবাচক নয়। এমনিতেই বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেশি। স্থলবন্দরগুলো দিয়ে যেসব পণ্য রফতানি হতো এখন সেগুলো যদি সমুদ্রবন্দর দিয়ে পাঠাতে হয় তাতে অনেক সময় লেগে যাবে। ব্যবসার খরচ বেড়ে যাবে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। দুই দেশের বাণিজ্যের অশুল্ক যুদ্ধের পর্যায়ে না গেলেও দুই সরকারের মধ্যে যদি বোঝাপড়ার ঘাটতি থাকে তাহলে দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধাগুলো বন্ধ হওয়ার মতো ঘটনা থাকবেই। এতে দুই দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তুলনামূলক ছোট দেশ বলে বাংলাদেশের ক্ষতিটাই বেশি। আমার মনে হয় নির্বাচিত সরকার ছাড়া এ অবস্থার পরিবর্তন মুশকিল।’

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেখছেন একে অন্যের প্রতি প্রতিশোধমূলক মনোভাব হিসেবে। তাদের দাবি, বাংলাদেশ ভারতবিরোধী অবস্থান নেয়ার ফলেই ভারত বাংলাদেশের ভোগান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে অর্থনৈতিকভাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক আবু হেনা রেজা হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দুই দেশের পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপগুলো মূলত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এক ধরনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ চলছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরের সঙ্গে যা করছে তেমনটাই বাংলাদেশ ও ভারত একে অন্যের সঙ্গে করছে। আমরা ওদের সুতা আসতে দিচ্ছি না, ওরা এখন পোশাক নেবে না। কতদিন নাগাদ এ পরিস্থিতি চলবে সেটা সময়ই বলে দেবে। পরিস্থিতি ঠিক করতে হলে দুই দেশকে সমঝোতায় আসতে হবে। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত সেই পথে ধাবিত না হব ততদিন ভারতের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি না।’

কূটনীতিকরা বাণিজ্যকে ঘিরে দুই দেশের পদক্ষেপগুলোকে অবন্ধুসুলভ আচরণ মনে করছেন। তাদের মতে, বর্তমান পদক্ষেপগুলো একে অন্যের প্রতি দুই দেশের আচরণগত সমস্যা। ভারত বর্তমান যুদ্ধংদেহী অবস্থার মধ্যে আছে। এ অবস্থায় সবকিছুই ভাবা হচ্ছে যুদ্ধকালীন মানসিকতা থেকে। বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই আঞ্চলিক অস্থিরতা নিয়ে ভারত একটা ভয়ের মধ্যে রয়েছে। ফলে দেশটির গৃহীত পদক্ষেপ বা উদ্যোগগুলো ভীতি থেকেই নেয়া হচ্ছে। কারণ তারা দেখছে তাদের পূর্ব ও পশ্চিম দুই ফ্রন্টেই গোলমাল হয়ে গেছে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বণিক বার্তাকে বলেন, ‘যা হচ্ছে তা ইতিবাচক বিষয় নয়। এখন বাংলাদেশ ও ভারত নিকট প্রতিবেশী হিসেবে এবং দুই দেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতার প্রেক্ষাপটে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আরো সতর্কভাবে কাজ করা উচিত। সরকারি পর্যায়ে না হলেও বেসরকারি পর্যায়ে অনতিবিলম্বে আলোচনা শুরু করা দরকার, যাতে আমাদের সম্পর্কটা স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়।’

বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে ভারতের বিধিনিষেধের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা গতকাল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘ভারত নিজেও বস্ত্র শিল্পে সমৃদ্ধ দেশ। তার পরও আমাদের দেশ থেকে যখন ভারতে বস্ত্র রফতানি হয়, সেটা আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করেই হয়।’

ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধের ধারাবাহিকতায় এটা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ট্রান্সশিপমেন্টের কোনো প্রভাব এ মুহূর্তে আমাদের ওপর নেই। আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা ব্যবহার করে আমরা নিজস্বভাবেই এ সমস্যা সমাধান করেছি।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়