শিরোনাম
◈ শেখ হাসিনার শাসনামলের গুম, খুন, অর্থপাচার: আল জাজিরার তথ্যচিত্রে বিস্ফোরক তথ্য ◈ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড ◈ এবার রিপাবলিক বাংলা বন্ধ ও ময়ূখকে গ্রেফতারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গে বি'ক্ষো'ভ (ভিডিও) ◈ দেশে জঙ্গি ঢুকিয়ে দিয়ে যুদ্ধের নাটক করছে বিজেপি: কীর্তি আজাদ ◈ ডেটিং নিয়ে দ্বন্দ্ব: তিন কলেজেই মেয়েরা ডেট করে, তাই হয় মারামারি', বললেন সিটি কলেজের ছাত্রীরা ◈ দেশের বাজারে কমল স্বর্ণের দাম, ভরি কত? ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে একাট্টা হচ্ছে দলগুলো ◈ কাতারের আমীরের দেয়া বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া ◈ ৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির ◈ মাদক সেবনের অপরা‌ধে ক্রিকে‌টে সাময়িক নিষিদ্ধ দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকার রাবাদা

প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০২:০০ রাত
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দীর্ঘ সাড়ে ৮ বছর পর বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ঘাটতি কমে এখন উদ্বৃত্ত হয়েছে

ডলার আয়ের চেয়ে ব্যয় কম হওয়ায় দীর্ঘ সাড়ে ৮ বছর পর বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ঘাটতি কমে এখন উদ্বৃত্ত হয়েছে। নভেম্বর পর্যন্ত এ হিসাবে ঘাটতি ছিল। ডিসেম্বরে এতে ঘাটতি কমে উদ্বৃত্ত হয়েছে। রোববার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই ডিসেম্বরে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ঘাটতি কমে উদ্বৃত্ত হয়েছে তিন কোটি ৩০ লাখ ডলার। এর আগে চলতি অর্থবছরের গত নভেম্বর পর্যন্ত এ হিসাবে ঘাটতি ছিল ২৩ কোটি ডলার। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে এ হিসাবে টানা ঘাটতি চলে আসছে। ২০২২ সালের জুলাই থেকে এ ঘাটতির কারণেই ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। বর্তমানে সংকট কিছুটা কমলেও ডলার ব্যবহারে এখনো সাশ্রয়ী নীতি অনুসরণ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সূত্র জানায়, বৈদেশিক মুদ্রায় সরকারের আয় ব্যয়ের চিত্র এ হিসাবে প্রতিফলিত হয়। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে খরচ বেশি হলে এতে ঘাটতি দেখা দেয়। আর আয়ের চেয়ে খরচ কম হলে উদ্বৃত্ত থাকে। উদ্বৃত্ত থাকলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ে। আর ঘাটতি থাকলে রিজার্ভ কমে। তবে গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এ হিসাবে ঘাটতি ছিল। তবে সরকার বৈদেশিক ঋণ নিয়ে ঘাটতি পূরণ করেছে। যে কারণে এখন ঋণের বোঝা বেড়েছে। ঋণ নিয়ে সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়েছে। যে কারণে ২০২২ সালের জুলাইয়ে ডলার সংকট শুরু হলে রিজার্ভও চাপে পড়ে।

২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে চলতি হিসাবে ঘটতি চলে আসছিল। ওই সময়ে দেশে ডলার সংকটের বার্তা পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সরকার বিষয়টিকে আমলে নেয়নি। যে কারণে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিকভাবে পণ্যের দাম বেড়ে গেলে দেশের আমদানি ব্যয় বেড়ে গিয়ে ডলারের সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এতে পুরো অর্থনীতি সংকটে পড়ে। টাকার মান কমে যায়, মূল্যস্ফীতি বেড়ে গিয়ে মানুষের ভোগান্তি তৈরি হয়। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

গত অর্থবছরে এ হিসাবে ঘাটতি ছিল ৬৬০ কোটি ডলার। ওই বছরের জুলাই ডিসেম্বরে ঘাটতি ছিল ৩৪৭ কোটি ডলার। এর আগে ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ হিসাবে সর্বোচ্চ ঘাটতি হয়েছিল।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ থেকে টাকা পাচার কমে যায়। পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বাড়ে। এতে ডলারের প্রবাহ বেড়ে যায়। যে কারণে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে খরচ কম হচ্ছে। এ কারণেই এ হিসাবে ঘাটতি কমেছে। এতে ঘাটতি কমায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়ছে। রোববার দিনের শুরুতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৮৬ কোটি ডলার। উৎস: যুগান্তর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়