শিরোনাম
◈ শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মিজান গ্রেফতার (ভিডিও) ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়া ◈ ‘ভারত ফের হামলা না করলে দায়িত্বজ্ঞানহীন কোনো পদক্ষেপ নেবে না পাকিস্তান’ ◈ ঈদের আগের দুই শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খোলা ◈ পুলিশের শীর্ষস্থানীয় ১৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ ভারত থেকে এভাবে 'পুশ–ইন' সঠিক নয়: নিরাপত্তা উপদেষ্টা ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ মার্কিন কৌশলগত স্বার্থের ক্ষতি করবে ◈ সোহান ও অঙ্কনের সেঞ্চুরি, নিউ‌জিল‌্যা‌ন্ডের বিরু‌দ্ধে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ এ’ দল ◈ ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত’ ◈ যে কারণে ভারত বনাম পাকিস্তান যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্র বনাম চীন যুদ্ধও!

প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:১৩ সকাল
আপডেট : ০৭ মে, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বন্দর ও কাস্টমস বিপাকে ৩০০ গাড়ি নিয়ে

গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ৩০০ গাড়ি পড়ে থাকায় চরম বেকায়দায় চট্টগ্রাম বন্দর। মামলা থাকায় নিলাম বা ধ্বংস করতে পারছে না কাস্টম হাউস। অবশেষে নিলাম শেডের স্ক্র্যাপ পণ্য বিক্রি করে এসব গাড়ি অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের বহুতল কার শেড এবং কেমিকেল শেডের ঠিক মাঝেই গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে আছে প্রায় ৩০০ প্রাইভেট কার, পাজেরো, মাইক্রোবাস এবং পিকআপ। বিদেশ থেকে আমদানি করা এসব গাড়ি আমদানিকারক ছাড় না করায় এখানে ফেলে রাখতে বাধ্য হয়েছে কাস্টম হাউজ। আবার আমদানি সংক্রান্ত মামলার কারণে এসব গাড়ি নিলামে বিক্রি কিংবা ধ্বংসও করা যাচ্ছে না।

 চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, কোনো পণ্য বন্দরে এলে দ্রুত খালাসের চেষ্টা করা হয়। ফেলে রাখলে কোনো সুবিধা পায় না বন্দর। উল্টো রাজস্ব হারায় সরকার।
 
রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) দাবি, শুল্ক ছাড়ের নানা কারসাজি করতে গিয়ে ইউরোপ থেকে আমদানি করা গাড়িই সবচেয়ে বেশি কাস্টমসে আটকা পড়ছে। আমদানিকারক কৌশলে শুল্ক কম দিয়ে গাড়ি ছাড় করার আশায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে গাড়ি আমদানি করেন। পরবর্তীতে শুল্কহারসহ মূল্য বেশি পড়ে যাওয়ায় করছেন না গাড়ি ছাড়। বর্তমানে বন্দরের বিভিন্ন শেডে ৯০০ গাড়ি রয়েছে।

বারভিডার সহসভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিলামে ডিএটির চেয়ে কিছু টাকা বেশি পেলেই গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়া উচিত। না হলে এভাবে গাড়ির স্তূপ তৈরি হতে থাকবে।
 
এদিকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম শেড স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রির জন্য কাটা ৭৪টি গাড়ির ধ্বংসাবশেষসহ পরিপূর্ণ হয়ে আছে পুরানো জিনিসে। নানা জটিলতায় গাড়ির স্ক্র্যাপ কিংবা অন্যান্য মালামাল বিক্রি করতে না পারায় বন্দরের শেড থেকে গাড়িগুলোও আনতে পারছে না চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ।
 
সদ্যবিলুপ্ত দ্বাদশ সংসদের ২৪ জন সাবেক সংসদ সদস্যের নামে আমদানি করা ২৪টি ল্যান্ড ক্রুজারসহ ৪০০টি গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য বাই পেপার হস্তান্তর করা হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কাছে।
 
অবশেষে নিলাম শেডে থাকা স্ক্র্যাপ পণ্যগুলো বিক্রি করে এসব গাড়ি সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাস্টম হাউজ। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, কাস্টম হাউজের নিলাম শেডে থাকা কিছু মালামাল স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এটি করা গেলে কিছু গাড়ি এনে রাখা যাবে। ‍উৎস: সময়নিউজ টিভি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়