সালেহ ইমরান: [২] আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার কিনে বিপদেই পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ফেসভ্যালুর নিচে শেয়ারদর পড়ে যাওয়ায় এসব ব্যাংকের শেয়ার এখন গলার কাঁটা। এতো কষ্টে কেনা শেয়ার বিক্রিও করতে পারছেন না তারা। বিক্রি করতে পারলেও হারাচ্ছেন বড় অঙ্কের পুঁজি। (বণিক বার্তা ২১-০৬-২০২৪)
[৩] অব্যবস্থাপনা, পরিচালকদের স্বেচ্ছাচারিতা, অডিট দুর্বলতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনী জটিলতায় ব্যাংকগুলোর দুরাবস্থা বলে জানিয়েছেন আর্থিক খাত সংশ্লিষ্টরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। ( আমার সংবাদ ২২-০৬-২০২৪)
[৪] ডিএসই ওয়েবসাইট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ইউনিয়ন ব্যাংক সর্বশেষ ২০২২ সালে মাত্র ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড, এবি ব্যাংক ২ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ১০ শতাংশ ক্যাশ ও বোনাস ডিভিডেন্ড এবং ওয়ান ব্যাংক ২০২০ সালে ৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছিলো। তবে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ক্যাশ ও বোনাস ডিভিডেন্ড দেয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
[৫] আলোচ্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের একেকটি ১০ টাকার শেয়ারের দর এখন সাড়ে ৬ টাকা, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের সাড়ে ৩ টাকা এবং এবি ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারের দর ৭ টাকায় নেমে এসেছে।
[৬] দীর্ঘদিন ধরে যেসব ব্যাংকের শেয়ারের দর ফেসভ্যালুর নিচে তাদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, এ ব্যাপারে এসইসির কিছু করার নেই। তবে প্রাইমারি রেগুলেটর হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জবাব দিতে হয় ব্যাংকগুলোকে। তবে দীর্ঘ সময় ডিভিডেন্ড না দিলে এসইসি ব্যাংকগুলেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। তিনি বলেন, এখন মার্কেট কিছুটা ডাউন আছে, আপার অ্যান্ডে চলে এলে শেয়ারের দর বাড়বে। (ঢাকা ট্রিবিউন ২০-০৬-২০২৪)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২