মনজুর এ আজিজ: [২] ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বুধবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পখাতের সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
[৩] প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামনের দিনগুলোতে প্রযুক্তিখাতের সকল স্তরে ন্যানো চিপের বহুমুখী ব্যবহার বাড়বে, তাই আমাদেরকে এ ব্যাপারে এখনই মনোযোগী হতে হবে, বিশেষ করে শিল্পখাতের প্রয়োজনের নিরিখে দক্ষ জনবল তৈরিতে শিক্ষাকারিকুলাম যুগোপযোগী করার উপর জোরারোপ করেন।
[৪] তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে সারাদেশে বিদ্যুৎ প্রাপ্তিসহ তথ্য-প্রযুক্তিখাতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও নীতি সহায়তার কারণেই বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪টি প্রতিষ্ঠান সেমিকান্ডাক্টিং খাতে বেশ ভালো করছে, তবে এ খাতের যথাযথ বিকাশে আমাদেরকে চিপ ম্যানুফেকচারিং, এ্যাসেম্বিলিং ও প্যাকেজিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। তাছাড়া সেমিকন্ডাক্টর খাতের চাহিদা মেটাতে ৫০ হাজার দক্ষ জনবল তৈরি একান্ত আবশ্যক।
[৫] সর্বোপরি এখাতের সার্বিক উন্নয়নে একটি সেমিকন্ডাক্টর পলিসি প্রণয়ন করা হবে বলে মন্ত্রী আশ্বাস প্রদান করেন এবং উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তার জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন। সেই সাথে এখাতের বিকাশে একটি কার্যকর ইকোসিস্টেম তৈরির পাশাপাশি ‘শিল্প ও শিক্ষা খাতের সাথে সরকারের মধ্যকার কার্যকর মিলবন্ধন অপরিহার্য।
[৬] ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, তৈরি পোশাক খাতের নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে আমদানি বিকল্প শিল্পখাতের বিকাশ ও পণ্যের বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে সম্ভাবনাময় সেমিকন্ডাক্টর খাতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। এখাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে দক্ষ জনবল তৈরির কোন বিকল্প নেই। এ খাতের বিকাশে ব্যবসা পরিচালনায় লাইসেন্স প্রাপ্তি প্রক্রিয়া সহজীকরণ, সহায়ক নীতি সহায়তা নিশ্চিতকরণ, ঋণ সহায়তা প্রদান, স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা প্রাপ্তি, ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি বন্ডেড ওয়্যারহাউজ, কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদানসহ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি।
[৭] অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জি এস এম জাফরউল্লাহ্, এনডিসি বলেন, এখাতের বিকাশে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের এখনই সময় এবং এলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো মনোযোগী হতে হবে।
[৮] অধ্যাপক ড. এ এস এম এ হাসীব মূল প্রবন্ধে বলেন, ইলেকট্রিকাল এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ডিজাইন, চিপ ফেব্রিকশন, এ্যাসেম্বেলিং, টেস্টিং ও প্যাকেজিং প্রভৃতি বিষয়সমূহ সেমিকন্ডাক্টর খাত হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে এবং বর্তমানে এ শিল্পখাতের বৈশ্বিক বাজার ৬৭৩.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা, ২০৩২ সালে ১,৩০৭.৭ বিলিয়নে পৌঁছাবে। বর্তমানে এখাতের পণ্যের ডিজাইনে বাংলাদেশের বার্ষিক আয় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এমএএ/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :