আমিনুল ইসলাম: [২] টানা দর পতনের মুখে আবারও বাজারে হস্তক্ষেপ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এবার তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানির শেয়ারের মূল্য হ্রাসের নতুন সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে ফ্লোরপ্রাইসে থাকা কোম্পানির ক্ষেত্রে এ সীমা প্রযোজ্য হবে না। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ ব্যবস্থা নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
[৩] বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এ নির্দেশনা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
[৪] নির্দেশনা অনুসারে, একদিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের মূল্য সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে। এরচেয়ে কম মূল্যে কেউ শেয়ার বিক্রি বা কিনতে পারবে না। এর আগে শেয়ারের বাজারমূল্যের আলোকে মূল্য সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারতো। তবে মূল্য হ্রাসের নতুন সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আগের সীমা-ই বহাল আছে। শেয়ারের আগের দিনের বাজার মূল্যের আলোকে পরদিন মূল্য সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে।
[৫] বিদ্যমান সার্কিটব্রেকার পদ্ধতিতে, শেয়ারের দামের ভিত্তিতে মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধির সীমা বেঁধে দেওয়া আছে। যে কোনো কোম্পানির শেয়ারের আগের দিনের ক্লোজিং মূল্যের আলোকে পরদিন এ সীমা প্রযোজ্য হয়। কোনো কোম্পানির শেয়ারের মূল্য ২০০ টাকার মধ্যে থাকলে পরদিন ওই শেয়ারের মূল্য সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে বা কমতে পারে। মূল্য ২০০ টাকার ওপর থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০ টাকার উপর থেকে ১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, মূল্য ১০০০ টাকার উপর থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০ টাকার উপর থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ এবং মূল্য ৫০০০ টাকার বেশি হলে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারে। এই সার্কিটব্রেকারের উপরের সীমা তথা মূল্য বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমাটি বহাল রেখে নিম্নসীমা তথা মূল্য হ্রাসের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বুধবার। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এআই/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :