মোঃ রফিকুল ইসলাম মিঠু, (উত্তরা) ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখানে ১৫ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে তারই দুই সহকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিন খান থানা পুলিশ। দক্ষিণখানের চামুরখান থেকে শুক্রবার (১০ জুন) মধ্যরাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলো- আল আমিন (২১) ও রানা মিয়া (১৮।
এর আগে, দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ চৌরাস্তার লায়লা খাতুনের ছয় তলা বাড়ির পঞ্চম তলায় বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বাদী উত্তরখান থানার চামুরখান এলাকায় ভাড়া থাকেন। চামুরখানের আক্তারের চুলের ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন আসামি ও বাদী।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী গৃহবধূ বলেন, ‘আমরা সবাই চামুরখানের একটি চুলের ফ্যাক্টরিতে কাজ করি। আল আমিন ঐ ফ্যাক্টরির সুপারভাইজার হিসাবে কর্মরত। আর রানা অপারেটর। আল আমিন আমাকে ওদের সঙ্গে এক রাত থাকার জন্য প্রস্তাব দেন। না থাকলে ওরা চাকরি থেকে বের করে দেওয়া অথবা বেতন কমিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তাদের ভয়ে আমি চামুরখান গেলে আল আমিন ও রানা আমাকে রিকশা দিয়ে ওদের বন্ধু শাওনের বাড়িতে নিয়ে সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।’
গৃহবধূ বলেন, ‘পরে সকাল ৬টার দিকে রানা আমাকে উত্তরখান মাজারে পৌঁছে দেয়। সেই সঙ্গে রিকশা ভাড়ার জন্য ২০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দেয়। বাসায় গেলে আমার স্বামী গালে ও ঘাড়ে দাগ দেখে বুঝে ফেলে। তখন বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে এসে থানায় মামলা করে।’
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আফতাব উদ্দিন শেখ বলেন, ‘দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ চৌরাস্তার লায়লা খাতুনের বাড়িতে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে উত্তরখানের চামুরখান এলাকা থেকে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এমআরআইএম/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :