হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর: বোয়ালমারীতে গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনার মামলায় বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আহত অবস্থায় যুবলীগ নেতা ইউনুচ শেখ (৩৬) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় ইউনুচ শেখের স্ত্রী রিপা বেগম বাদি হয়ে রোববার (৪ জুন) বিএনপি নেতা মো. রুহুল মোল্যাকে (৬০) প্রধান আসামি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি আ. গফফার শেখকে (৪২) দুই নম্বর আসামি করে ২০ জনের নামে মামলা করেছেন। মামলার পর পুলিশ রুহুল মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে রোববার ফরিদপুর আদালতে পাঠিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র চতুল ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মো. রুহুল মোল্যার সাথে চতুল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সুবদেবনগর গ্রামের বাসিন্দা ইউনুচ শেখের সাথে বিরোধ চলছিলো। গত শুক্রবার (২ জুন) রাত ১০টার দিকে ইউনুচ শেখ বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে বাইখির গ্রামের খলিলের বাড়ির সামনে পৌঁছালে রুহুল মোল্যা ও আ. গফফার শেখ তাদের লোকজন নিয়ে ওই যুবলীগ নেতাকে চারিদিক ঘিরে ফেলে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় তার ডাকচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ইউনচ শেখকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
হামলায় আহত ইউনুচ শেখ বলেন, বিএনপি নেতা রুহুল মোল্যা আমাকে দল করতে নিষেধ করে বিভিন্ন সময় চাপাচাপি করছিলো। দল করলে তার সাথে দল করতে হবে বলেও তিনি চাপ সৃষ্টি করে। তার কথা শুনি নাই বলে আমাকে মেরে ফেলার জন্য লোকজন নিয়ে কুপিয়েছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ইউনুচ শেখকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি রুহুল মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :