শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০২৩, ০২:৩২ দুপুর
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২৩, ১১:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সমকামীদের অ্যাপের ফাঁদে পড়ে খুন হন স্থপতি ইমতিয়াজ, গ্রেপ্তার ৩

ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া

মাসুদ আলম ও নাহিদ হাসান: নিখোঁজের পর স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। রোববার সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মিল্লাত হোসেন মুন্না ওরফে মুন (১৯), এহসান ওরফে মেঘ (২৩) ও আনোয়ার হোসেন (৩৮)। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার একটি গ্যারেজ থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।

সোমবার ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিবির ডিসি গোলাম সবুর বলেন, হত্যায় জড়িত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরাফাত ও আলিফ নামের দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ডিবি জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সমকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য। তারা একটি গে চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে আগে থেকে সমকামী বিভিন্ন লোকজনকে টার্গেট করে রুম ডেটের কথা বলে বাসায় ডেকে নেন। এভাবে বিভিন্ন কায়দায় ব্ল্যাকমেইল করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে আসছেন তারা।  ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার সঙ্গে আসামি আলিফের গে চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি হয়। তারই সূত্র ধরে গত ৭ মার্চ দুপুরে আলিফকে ফোন করেন ইমতিয়াজ। আলিফ তাকে কলাবাগান থানার ক্রিসেন্ট রোডের আরাফাতের বাসায় যেতে বলেন। 

ডিবি আরও জানায়, ওই বাসায় যাওয়ার পর একটি রুমে ইমতিয়াজ ও আলিফ আপত্তিকর অবস্থায় থাকাকালীন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আলিফের সহযোগী আরাফাত, মেঘ, মুন্না ও আনোয়ার প্রবেশ করেন। তারা ওই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইমতিয়াজকে মারধর শুরু করেন। এরপর তার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। ইমতিয়াজ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার বুকে, পিঠে প্রচণ্ড মারধর করেন আসামিরা। যার কারণে ইমতিয়াজের মৃত্যু হয়। পরে একটি গাড়িতে করে মুন্সিগঞ্জ গিয়ে লাশ ফেলে দেন। আরাফাত ও আলিফ ভারতে পালিয়ে গেছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে। 

জানা গেছে, ইমতিয়াজ ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির নকশার কাজ করতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ৮ মার্চ তার স্ত্রী ফাহামিদা আক্তার কলাবাগান থানায় একটি জিডি করেন।

পরদিন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের একটি ঝোপের ভেতর থেকে ইমতিয়াজের মরদেহ উদ্ধার হয়। তার পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুলে হস্তান্তর করে। তবে পরিবার তা জানতে পারেনি।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ইমতিয়াজ নিখোঁজের বিষয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হলে ১০ দিন পর পরিবার জানতে পারে, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন। সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের। পরে আদালতের অনুমতিতে ওই লাশ উদ্ধার করে শনাক্ত করেছেন ইমতিয়াজের স্বজনেরা।

এমএ/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়