বাঁশখালী প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নে অবস্থিত পালেগ্রাম শাহ হাকিম মিঞা সিনিয়র মাদ্রাসার হাফেজ বিভাগে অধ্যয়নরত ১০ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৫ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৬) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জাহাঙ্গীর সরল ইউনিয়নের মিনজিরিতলা গ্রামের ফরিদ আহমদ ও রাশেদা বেগমের পুত্র ।
শনিবার রাতে শিশুটির মা বাদি হয়ে শিক্ষার্থীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ (বলাৎকার) অপরাধে ৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর মতে বাঁশখালী থানায় মামলা করা হয়েছে জানান বাঁশখালী থানার এসআই রাজীব কুমার পোদ্দার। থানায় প্রদত্ত অভিযোগ ও শিক্ষার্থীর অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারি মাসেই শিশুটিকে এই মাদ্রাসায় হাফেজ পড়ানোর জন্য ভর্তি করা হয়। শিশুটি মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করছিল। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম ওই মাদ্রাসার হাফেজ বিভাগের শিক্ষক। শিক্ষক প্রায় সময় শিশু শিক্ষার্থীটিকে রাতে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে শিশুটিকে বলাৎকার করতো।
বিষয়টি কাউকে না জানাতে শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখাতো শিক্ষক জাহাঙ্গীর।
ছেলেটির বাবা সিরাজ মিয়া বলেন,‘গত দুইমাস ধরে সেখানেই থাকতো ছেলে। এর মধ্যে ছেলে বাড়িতে এসে আর মাদ্রাসায় যাবে না বলে জানায়। পরে ছেলে তার মাকে পুরো বিষয় খুলে বলে। মাদ্রাসার পাষন্ড শিক্ষক আমার ছেলেকে দুইমাস ধরে ঘুমাতে দেয়নি। সে প্রতিনিয়ত আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে। আমাদের অভিযোগের পর ওই শিক্ষককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছে বলে তিনি জানান ।