মো. আদনান হোসেন, (ধামরাই) ঢাকা: ধামরাইয়ে জয়পুরাবাজারে ভূয়া ডিবিপুলিশ পরিচয়ে অভিযান পরিচালনা করার সময় মোঃ আনোয়ার হোসেন শিমুলকে(৩৫)নামে এক যুবককে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
বাকী দুই ভূয়া ডিবিপুলিশ পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে আনোয়ার হোসেন শিমুলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসআই মোঃ শফিউল্লাহ সিকদার।
ধামরাই উপজেলা কুল্লা ইউনিয়নের জয়পুরা বাজার থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত আনোয়ার হোসেন শিমুলের বাড়ী ধামরাই উপজেলার সোমবাগ ইউনিয়নের দেপাশাই এলাকার মোঃ আব্দুর রফিকের ছেলে।
পলাতক আসামিরা হলেন, উপজেলা কুল্লা ইউনিয়নের কুল্লা গ্রামের মোঃ মঞ্জু মিয়ার ছেলে মোঃ রমজান আলী(৩৫), মোঃ রমজান আলী স্ত্রী স্বপনা আক্তার।
জানা যায়, আসামি স্বপনা আক্তার শাহাদাৎ হোসেন নামে এক যুবকের রিকসাই যাতায়াত করতেন। সেই সুবাধে শাহাদাৎ এর সাথে স্বপনা আক্তারের পরিচয় হয়। গতকাল সোমবার স্বপনা আক্তার তার বাসা পরিবর্তন করার কথা বলে শাহাদাৎকে রমজান আলীর বাড়ীতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেখানে গিয়ে আসামী আনোয়ার ও রমজান আলীকে দেখতে পায়।
এরপর তারা শাহাদাৎকে রমাজান আলীর ঘরের ভিতরে নিয়ে আটক করে তার ব্যবহিত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এই সময় শাহাদাৎ তাদের বলে আমি কোথায় টাকা পাব।
পরে তারা শাহাদাৎ এর মুখ বেধেঁ মারধর করে। এরপর তারা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শাহাদাৎ এর কাছ থেকে বাড়ী মোবাইল নাম্বার নিয়ে ডিবি পরিচয়ে বাড়ীতে ফোন করে মুক্তিপনের টাকা চায়। পরে তার মেয়ের জামাই জয়পুরা বাসস্ট্যান্ডে এসে আনোয়ারের কাছে ১০হাজার টাকা দেয়। এই সময় শাহাদাৎ কৌশলে ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার করিলে আশে পাশের লোকজন দৌড়িয়ে এসে আনোয়ার হোসেন শিমুলকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে। এর মধ্যে বাকী দুই আসামি পালিয়ে যায়।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার এসআই মোঃ শফিউল্লাহ সিকদার বলেন, জয়পুরা বাজারে ভূয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে শাহাদাৎ নামে এক রিকসাওলাকে আটক করে টাকা দাবি করে। পরে শাহাদৎ এর মেয়ের জামাই ১০হাজার টাকা দেয়।
এই সময় শাহাদাৎ ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার করলে বাজারের লোকজন গিয়ে আনোয়ার হোসেন শিমুল নামে এক ভূয়া ডিবি পুলিশকে আটক করে থানায় খবর দেয়। এরপর দ্রত সেখানে পৌছিয়ে আনোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। বাকী দুই আসামি পালিয়ে যায়। পরে আজ সকালে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে আনোয়ারকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রতিনিধি/জেএ