বিপ্লব সিকদার: করদাতাদের দেওয়া সাড়ে ১৫ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে কৌশলে আত্মসাৎ করার অভিযোগে সহকারী কর কমিশনারসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই চার্জশিটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অনুমোদিত চার্জশিটে আসামিরা হলেন, রংপুর কর অঞ্চল সার্কেল-৮–এর প্রধান সহকারী আবদুল মজিদ, কম্পিউটার অপারেটর মো. ওবাইদুর রহমান, আইনজীবীর সহকারী আশিক ওরফে আতিক ও রংপুর কর অঞ্চলের সহকারী কর কমিশনার গোবিন্দ চন্দ্র দাস।
তদন্ত প্রতিবেদনে সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কারদাতাদের আয়কর বাবদ প্রদত্ত সরকারি রাজস্ব আত্মসাৎ করে। করদাতাদের ৮টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধিত ২৬ লাখ ৬২ হাজার ১১৮ টাকা সরকার নির্ধারিত কোডে জমা না করে দিনাজপুর উপ-কর কমিশনারের কার্যালয়ের সার্কেল-৮ এর কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের হিসাবে ঘষামাজা ও জালিয়াতির মাধ্যমে জমা করে।
এরপর তিনটি চেকের মাধ্যমে ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করে আসামিরা।আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধিসহ ১৯৪৭ সনের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশীট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করেন।এর আগে ২০১৯ সালের ২০ মে আয়কর বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর পরপরই দুদকের দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল ২০১৯ সালের ৯ জুন অভিযান চালিয়েও জালিয়াতির বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছিল। ওই সময়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছিলেন।
বিএসএ/এসএ