শিরোনাম
◈ নোয়াখালীতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, চালক নিহত ও আহত ১২ ◈ আনুপাতিক ভোটপদ্ধতি ‘ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করবে’: রিজভী ◈ বাংলাদেশ আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না ◈ একনেকে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন ◈ বিশেষজ্ঞরা চার পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন: আলী রীয়াজ ◈ শেখ হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ করেছেন কর গোয়েন্দারা ◈ যে কারণে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক ও ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করলেন ◈ মানুষকে কামড়ালে ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’ হবে কুকুরের! ◈ ডাকসু নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা অবৈধ: ছয় বছর পর জিএস হতে পারেন রাশেদ খান! ◈ স্বচ্ছতা আনতে সব প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হবে, আগামী সপ্তাহেই গেজেট: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৩:০৫ দুপুর
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৩:০৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাইলটের মৃত্যু: ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি পুলিশ

পাইলট ইউসুফ হাসান আল হিন্দি

খালিদ আহমেদ: রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় গালফ এয়ারের পাইলট ইউসুফ হাসান আল হিন্দির মৃত্যুর ঘটনায় গুলশান থানা মামলা নেয়নি।ওই পাইলটের বোন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তালা এলহেন্ডি জোসেফিনো গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে গুলশান থানায় যান।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী ও গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার নিউটন দাস ঘটনা গুরুতর উল্লেখ করে তাকে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। কোর্ট থেকে থানায় এফআইআর করতে বললে তারা সহযোগিতা করবেন বলে জানান।

গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে ইউসুফ হাসান আল হিন্দি ঢাকার মেরিডিয়ান হোটেলে ছিলেন। পৌনে ৩টার দিকে তিনি ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুত হয়ে বের হয়ে যান। ভোর ৪টার দিকে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্নের সময় অসুস্থ বোধ করলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নেয়া হয়। সেখানে তিনি চার বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হন। এরপর বেলা ১২টার দিকে মারা যান ইউসুফ হাসান।

হাসানের বোন এলহেন্ডি জোসেফিনোর অভিযোগ, হাসপাতালে নেয়ার পর থেকে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো কার্ডিওলজিস্ট তার ভাইকে চিকিৎসা দেননি। কার্ডিওলজিস্ট ছাড়া পুরো চিকিৎসা প্রক্রিয়া শেষ করে চিকিৎসার অবহেলা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তার।

ইউনাইটেড হাসপাতাল বলছে, জোসেফিনোর ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মনগড়া।

গুলশান থানা মামলা না নেয়ায় বিষয়ে এলহেন্ডি বলেন, পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে রাজি ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তারা মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এলহেন্ডির অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা না নিতে পুলিশকে প্রভাবিত করেছে। পুলিশ তার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে হাসপাতালকে সাহায্য করছে।

তালা এলহেন্ডি আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মহুয়া মোর্শেদ। মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা শিগগির আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গণমাধ্যমকে অবহিত করব।
মামলার এজাহারের আবেদনে এলহেন্ডি লিখেছিলেন, করোনা মহামারির সময় রোগীদের দগ্ধ করার কারণে এই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের দাবি উঠেছিল। এটি পরিষ্কার যে তারা চিকিৎসা সেবার মত মহান দায়িত্ব পালনের অযোগ্য। উক্ত হাসপাতালটিতে আমার ভাইয়ের প্রাণহানির ঘটনাই শেষ না। চিকিৎসা অবহেলায় তাদের অতীত ইতিহাস আছে। কাজেই তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রচলিত যথাযথ ফৌজদারি কার্যবিধি ও দণ্ডবিধি আইনে আমি আমার ভাইয়ের ঠান্ডামাথায় হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাচ্ছি।

তিনি আরও লিখেছেন, আমি গত ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে নিয়মিত ইউনাইটেড হাসপাতালে যাতায়াত করে উক্ত হাসপাতালের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট ঘটনার দিন সিসি টিভি ফুটেজ ও চিকিৎসার যাবতীয় তথ্যাদি চাইলে তারা দিনের পর দিন কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং পরবর্তীতে কোনো প্রকার তথ্য প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানায়। যার প্রেক্ষিতে আমি নিজে তদন্ত করে এই মামলার প্রাথমিক তথ্য উদঘাটন করি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়