শিরোনাম
◈ ভুয়া ভিডিও শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিকের ◈ যুদ্ধবিরতির পর প্রথম সেনা বৈঠকে ভারত-পাকিস্তানের গুলি না চালানোর অঙ্গীকার, সীমান্ত থেকে সেনা কমানোর সিদ্ধান্ত ◈ যে কৌশলে ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধ থামিয়েছেন, জানালেন ট্রাম্প ◈ হামজা চৌধুরীর দুর্দান্ত পারফর‌মেন্স, ফাইনালে শেফিল্ড ইউনাইটেড ◈ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈদ্যুতিক শাটল গাড়ি চালু ◈ ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা কে এই আয়েশা ফারুক? ◈ গার্ডিয়ান থেকে বিবিসি; পশ্চিমা গণমাধ্যম কীভাবে ইসরাইলি অপরাধকে স্বাভাবিক হিসেবে প্রচার করে? ◈ রংপুর রাইডার্স এবা‌রো‌ গ্লোবাল সুপার লি‌গে অংশ নি‌চ্ছে ◈ রিয়াল মাদ্রিদের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন আলোনসো ◈ রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে আনচেলত্তি ব্রা‌জি‌লের প্রধান কো‌চের দা‌য়িত্ব নে‌বেন ২৬ মে

প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:২৫ বিকাল
আপডেট : ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:২৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মামলার পরেই আত্মগোপনে যান মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মানবতাবিরোধী ২ আসামি

নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মোখলেছুর রহমান মুকুল

মাসুদ আলম: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নকিব হোসেন আদিল সরকার (৬৯) ও মোখলেছুর রহমান মুকুলকে (৬৭) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২। সোমবার রাজধানীর দক্ষিণখান ও আশুলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের ত্রিশালের কাকচর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলী নদী পারাপারে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা জুন-জুলাইয়ের দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশালের আহমেদাবাদে একটি ক্যাম্প স্থাপন করে। মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপারে সহযোগিতার কারণে মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলীকে রাজাকারদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। টর্চার সেলে নির্যাতনের পর ১৫ আগস্ট সকালে তাকে গুলি করে হত্যা করে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর শহীদ ইউনুস আলীর ছেলে ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মোখলেছুর রহমান মুকুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালত বিচারিক কার্যক্রমের জন্য মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেন। 

মঈন বলেন, এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি নকিব ও মোখলেছুরসহ ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৫ সালে মামলা দায়েরের পরপরই গ্রেপ্তারকৃতরা আত্মগোপনে চলে যান। তারা পরিচয় পাল্টে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা মোবাইল ফোনে। 

তিনি বলেন, এ মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামি রায়ের আগেই মারা যান। নকিব ও মোখলেছুর মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকায় বাঙ্গালিদের আটক, নির্যাতন, অপহরণ, হত্যা, লুটপাট, ঘরবাড়ি লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গ্রেপ্তারকৃরতা আত্মগোপনে থাকার সময় তারা জনসমাগম স্থান, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ছাড়াও তার ব্যক্তিগত পরিচয় প্রকাশ পায় এমন স্থান এড়িয়ে চলতেন।

এমএ/এসএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়