আইনুর ইসলাম: বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাকলাইন খান ওরফে মাহমুদুল হাসান (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতকে বগুড়ায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরআগে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বসতবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর মা চামেলী বেগম বাদী হয়ে শেরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত চারমাস আগে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে একই এলাকার কলেজছাত্র সাকলাইন খান ওরফে মাহমুদুল হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই সূত্রধরে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেয় সাকলাইন। সেই সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণও করা হয়। কিন্তু বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হলে নানা তালবাহানা করতে থাকেন। এদিকে বিগত ২৮ নভেম্বর রাতে অভিযুক্ত সাকলাইন পান্তাপাড়া গ্রামস্থ স্কুলছাত্রীর বসতবাড়িতে যান। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে সাকলাইন জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে এজাহারে দাবি করা হয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বুধবার বিকেলে বগুড়ায় আদালতের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিনিধি/এসএ