সাবরীন জেরীন: শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার উত্তর দুধখালী এলাকার নদীর পাড়ের বাগান থেকে মৌসুমির লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের দাবি, ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে মৌসুমীকে।
নিহত মৌসুমি আক্তার সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের উওর দুধখালী গ্রামের মানিক হাওলারের মেয়ে ও একই এলাকার সৌদি প্রবাসী ইলিয়াস মীরার স্ত্রী। তিনি কিছুদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। তার ৫ ও ৪ বছর বয়সী ২ শিশু সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, বুধবার বিকেলে নিজ বাবার বাড়ি উত্তর দুধখালী থেকে একই গ্রামে দাদির বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয় মৌসুমি। দাদির সঙ্গে দেখা করে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি সে। পড়ে তার কোন খোঁজ না পেয়ে চারদিকে খোঁজখুজি শুরু করে পরিবার।
ঘটনার দুদিন পরে শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় এক নারী নদীর পাড়ের বাগানে কাঠ কুড়াতে গেলে তার মরদেহ গলায় দড়ি পেচানো অবস্থায় ভাঙ্গা গাছের ডালের সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেয়। পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের খালাত বোন তানজিলা আক্তার বলেন, আমার আপুকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে গাছের ডালের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। আপু নয়তো আত্মহত্যা করবে কেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
প্রতিনিধি/জেএ