জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর: [২] জেলার চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা ও গুলিতে আহত চার ছাত্রলীগ নেতার মধ্যে এম সজীব মারা গেছেন। ঘটনাত ৪ দিন পর মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২ টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালের নিবীড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
[৩] এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড়ে অতর্কিত হামলায় সজিবসহ ৪ জন আহত হয়। অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে গুলি করা হয়েছে।
[৪] সজিব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।
[৫] এদিকে হামলার ঘটনার সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ ঘটনা সোমবার চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
[৬] জানা যায়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় প্রেরণ করে। সম্পাদনা: ইস্রাফিল ফকির
প্রতিনিধি/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :