নিরত চাকমা, বিলাইছড়ি: [২] সারা বাংলাদেশে ৪৩ তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারের (সুপারিশপ্রাপ্ত) সমাজকল্যাণ বিষয়ে প্রথম হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ রিদওয়ানুর রহমান।
[৩] গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে ৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে মোট ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
[৪] জানা যায়, মোঃ রিদওয়ানুর রহমান এর গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার জেলার রামুর অন্তর্গত গর্জনিয়া ইউনিয়নে। তিনি মোঃ আবুল হোছাইন ও মাতা মোতাহেরা বেগমের দ্বিতীয় সন্তান। আর উচ্চতর শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে ২০১৮ সালে বিএসএস (অনার্স) ও ২০১৯ সালে এমএসএস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত আছেন।
[৫] বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সমাজকল্যাণ বিষয়ে প্রথম হওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মোঃ রিদওয়ানুর জানান, সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর কাছে নিরন্তর শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি যিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন কলমের মাধ্যমে আমরা যা জানতামনা তাও। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি লাখো কোটি দরূদ ও সালাম যিনি নিজ চরিত্রের মধ্যে আমাদের জন্য রেখেছেন উত্তম শিক্ষা। সদ্য প্রকাশিত ৪৩তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে (সমাজকল্যাণ বিষয়ে ১ম স্থান) সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।
[৬] তিনি আরও জানান,সিভিল সার্ভিসে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া পর্যন্ত আসতে এই অর্জনের পেছনে আমার মা-বাবা, শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকবৃন্দ, ভাই, নানা-নানীর ও কর্মস্থলের সিনিয়র স্যার ও সহকর্মীদের অবদান সবচেয়ে বেশী। আমার শুভাকাঙ্ক্ষীসহ তাঁদের প্রতি আজ আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
[৭] আরও জানান, এটুকু পথ পাড়ি দিতে অন্য সবার মতো আমাকেও বিভিন্ন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। বিশেষ করে একটি চাকরীতে থেকে সরকারি দায়িত্ব পালন করে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার মতো কঠিন কাজটি সহজ হয়েছে অত্যন্ত স্নেহাস্পদ, স্বপ্নদর্শী এবং মানবিক সম্মানিত অনেক সিনিয়র স্যার ও সহকর্মীগণের আন্তরিকতার সংস্পর্শের কারনে।
[৮] সর্বশেষ বলতে চাই পদ-পদবি সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব ছাড়া আর কিছুই নয়। পদবির সাথে মানুষের অধিকার রক্ষার দায়িত্বটাও বেড়ে যায়। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি বলেছিলেন, "দেশ তোমাকে কী দিয়েছে সেটা বড় কথা নয়, তুমি দেশকে কী দিয়েছো সেটাই বড় কথা"। সবার সুস্বাস্থ্য, নিরাপদ ও দীর্ঘায়ূ জীবন কামনা করছি। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস