নিনা আফরিন, পটুয়াখালী : গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কবলে পড়ে নিখোঁজ ৭ জেলে ১৩ দিন পর বাড়িতে ফিরেছেন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলার এফবি আরাফাত নামের একটি ট্রলার তাদের মৎস্য বন্দর আলিপুরে নিয়ে আসে। সেখান থেকে তারা কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।
তারা হলেন- পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবি এলাকার কাজীকান্ধা গ্রামের বাহাউদ্দিনের ছেলে ওইট্রলারের মাঝি তানমুন (৩৫) ও তানিম (৩০) এবং কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা আবু সালেহ, হৃদয়, আ. সালাম, রহমাত ও রাজিব।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৫ নভেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাস্বার ইউনিয়নের আশাখালী মোহনা থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় এমভি রহমাতুল্লাহ নামের একটি ট্রলার। সমুদ্রে যাওয়ার দুদিনের মাথায় বঙ্গোপসাগরে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। বৈরী আবহাওয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পরে নিখোঁজ হন ট্রলারে থাকা ৭ জেলে।
উদ্ধার হওয়া জেলে তানমুন জানান “ঘূর্ণিঝড়ের সময় আমাদের ট্রলার ডুবে গেলে আমরা ৪ দিন বোতল এবং গাছের সাহায্যেসমুদ্রে ভেসে ছিলাম,এরপরে ভোলার জেলেরা আমাদের উদ্ধার করে তাদের ট্রলার এ তুলে নেন,গভীর সমুদ্রে নেটওয়ার্ক নাথাকায় আমরা পরিবারকে জানাতে পারিনি,গতপরশুদিন নেটওয়ার্ক এর ভিতরে আসলে ভোলার জেলেদের সহযোগিতায় পরিবারকে আমাদের খোঁজ জানাই এবং আজকে দুপুরে আলিপুর বন্দরে আসি”।
এমভি রহমাতুল্লাহ ট্রলারের মালিক রহমাতুল্লাহ জানান,“আমার ট্রলারের জেলেদের বিভিন্ন ভাবে খুঁজেছি আমরা, আজ ১৩ দিন পর তারা আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। এতে আমি এবং জেলে পরিবারের সবাই খুব খুশি। যদিও আমার ট্রলারটি গভীরসমুদ্রে তলিয়ে গেছে”
কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান ,“উদ্ধারকৃত জেলেরা শারীরিকভাবে সবাই দুর্বল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িয়ে গিয়ে রেস্ট করতে বলেছি”।
আপনার মতামত লিখুন :