সনতচক্রবর্ত্তী , ফরিদপুর: জেলার আমের গাছ গুলোতে ব্যাপক হারে আমের গুটি দেখা দেওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। আমের জন্য এ জেলা তেমন বিখ্যাত না হলেও স্থানীয় জাতের ’নাক ফজলী, আম্রপালি, গোপালভোগ আম বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ।
দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন গ্রামে আমের বাগানই বেশি। প্রতিটি গাছেই দেখা মিলেছে আমের কড়ালি বা গুটি। এ জেলায় প্রতিবছরই আমের আবাদ হয়। মিষ্টি, স্বাদ, গুণ ও আকারে ফরিদপুর জেলার মধ্যে বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালি, সালথা, নগরকান্দাসহ বেশ কিছু উপজেলার আম। গাছের ডালে ডালে গুটি ধরেছে। আর সেই গুটিতেই স্বপ্ন বাঁধতে শুরু করেছেন চাষিরা। চলছে সাধ্য অনুযায়ী পরিচর্যা। চৈত্র-বৈশাখেই ফলবতী হয়ে উঠবে গাছ। জৈষ্ঠেই পরিপূর্ণ আমের দেখা মিলবে বাজারে। কৃষককূলে এখন চলছে তারই প্রস্তুতি।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- গাছ, পাতা, মুকুল, গুটি আর আম নিয়ে বাঁধা নানান স্বপ্নের কথা। বোয়ালমারী উপজেলার রায়পুর গ্রামের এক আম ব্যবসায়ী জানান, গতবছর আমের বাম্পার ফলন হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি কম হওয়ায় প্রচণ্ড খরতাপে গাছেই অনেক আম ফেটে গিয়েছিল। এবারও প্রতিটি গাছে গুটি ধরেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাবেন তারা।
মধুখালি উপজেলায় গ্রামের আম চাষি শহিদুল ইসলম জানান, বড় ধরনের কোনো প্রকৃতিক দুর্যোগ না হলে লাভের মুখ দেখবেন আম চাষিরা। এবার ৯০ শতাংশ আম গাছে মুকুল এসেছিল। সেই মুকুল থেকে কড়ি বাঁধতেও শুরু করেছে। বর্তমানে আমের প্রায় আড়াইশ’ জাতের মধ্যে আগাম জাতের ও মধ্যম জাতের আম গাছে গুটি এসেছে। দেরিতে গুটি আসবে ফজলি, আশ্বিনাসহ বেশ কয়েকটি জাতের।
জেলা কৃষি অফিস জানান, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হবে। এখনো কোন প্রাকৃতিক সমস্যা দেখা যায়নি। চাষিরা প্রথম অবস্থায় কীটনাশক প্রয়োগ করেছে এখন গুটির জন্য আম গাছে স্প্রে প্রয়োগ করছে। প্রতিটি গাছের একটি করে গুটি থাকলেই বাম্পার ফলন হবে বলে জানায় কৃষি অফিস | সম্পাদনা : ইস্রাফিল