শিরোনাম
◈ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘকে একযোগে কাজের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা করবে নৌবাহিনী: নৌ উপদেষ্টা ◈ গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব: ট্রাম্প বললেন, ইসরায়েল ‘প্রয়োজনীয় শর্তে’ সম্মত ◈ দেশের ৩২ বিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে: আইডিআরএ চেয়ারম্যান ◈ নতুন মূল্য নির্ধারণ এলপি গ্যাসের  ◈ আগামী এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল ◈ ৫ আগস্ট সাধারণ ছুটি ঘোষণা, প্রজ্ঞাপন জারি ◈ জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে জাতীয় সনদে পৌঁছার আশাবাদ আলী রীয়াজের ◈ আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড ◈ ড. ইউনুস একদিন আদালতে কেঁদে বলতে হবে ভুল হয়েছে: বিএনপি নেতা মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৭:৪৪ বিকাল
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৭:৪৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিশু অপহরণ মামলায়  একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা: কুমিল্লা সদর দক্ষিণে এডভোকেট মোঃ খোরশেদ আলমের শিশু সন্তান আনাস ইসলাম নুহিনকে অপহরণসহ মুক্তিপণ আদায়ের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন কুমিল্লার আদালত।

বুধবার (৮ ফেব্রুআরি) দুপুর ১২টায় এ রায় দেন কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

জানা যায়, ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় সময় কুমিল্লা লালমাই উপজেলাধীন রাইপুর গ্রামের মনিরুজ্জামানের ছেলে এডভোকেট খোরশেদ আলমের শিশু সন্তান আনাস ইসলাম নাহিদ (১০) আইসক্রিম খাওয়ার জন্য দশ টাকা নিয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নতুন পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডস্থ ভাড়া বাসা হতে বের হয়ে পাশের দোকানে যায়।  নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে আনাস বাসায় ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে পর দিন সদর দক্ষিণ মডেল থানায় সাধারণ ডায়রী করে (যার নং ৪১৬)। 

পরবর্তীতে ঐদিন সকাল ৯টায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মোবাইল হতে ভিকটিমের পিতার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করে জানায় যে, ভিকটিম আনাস ইসলাম নাহিদ আসামির হেফাজতে রয়েছে, ভিকটিমকে সুস্থ ফেরত পেতে হলে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ  দিতে হবে নতুবা মেরে ফেলা হবে। ভিকটিমের পিতা তিনধাপে ৩৫ হাজার টাকা নগদে পাঠালে আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের উত্তর পাশে আনাসকে ছেড়ে দেয়। ভিকটিমের পিতা সংবাদ পেয়ে সন্ধ্যা ৬টায় ভিকটিমকে উদ্ধার করেন। 

সেই সূত্রধরে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খালেকুজ্জামান ভিকটিমের অপহৃতের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহপূর্বক আসামি আবু ইউসুফকে গ্রেফতার করে তার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী গ্রহন করে।এরপর দীর্ঘ শুনানীর পর ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার আসামি আবু ইউসুফকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন  ৭ ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং ৮ ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। রায়ে আরও উল্লেখ্য করেন যে, উভয় সাজার মেয়াদ একত্রে কার্যকর হবে এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির হাজতকালীন সময় তার সাজার মেয়াদ হতে কর্তন হবে। রায় প্রদানকালে আসামি আবু ইউসুফ কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবু ইউসুফ হলেন নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার  ঠনারপাড় ( আবুল খায়ের মেম্বারের বাড়ী) নিবাসী মোঃ ইসমাইলের ছেলে।  

রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী এডভোকেট প্রদীপ কুমা দত্ত বলেন- এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।

ভিকটিমের পিতা এডভোকেট খোরশেদ আমল বলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন স্যার আজকে যে যুগান্তকারী রায় দিয়েছে আমি সন্তুষ্ট। এরফলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে আমি মনে করি।

প্রতিনিধি/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়