মো.আদনান হোসেন, ধামরাই : ধামরাইয়ে অভিযান চালিয়ে ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির ২টি অবৈধ কারখানা ধবংস ও একটি ইটভাটাকে জরিমানা করেছে ধামরাই উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী।
বিভিন্ন জায়গা থেক প্রায় অর্ধেক দামে কিনে নেওয়া হয় অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানের পুরাতন ব্যাটারি। এরপর পুরাতন ব্যাটারিতে থাকা বিভিন্ন পার্টস খুলে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা হয়। পুরাতন ব্যাটারি থেকে বিষাক্ত অ্যাসিডের সিসা পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করাহয়।
এসব ব্যাটারির বিষাক্ত অ্যাসিড, সিসা, প্লাস্টিক থেকে বের হওয়া বিভিন্ন বর্জ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কারখানার পাশের ফসলি জমি। ধ্বংস হচ্ছে আশপাশের পরিবেশও।রাস্তার ধারে ফসলি জমিতেই গড়ে উঠেছে পুরাতন ব্যাটারির কারখানা। ব্যাটারির বিষাক্ত অ্যাসিড ও ধোঁয়ায় পুড়ে ধ্বংস হচ্ছে আশেপাশের বিভিন্ন ফসল। কোনো অনুমোদন ছাড়াই ফসলি জমির মাঠে এমন স্পর্শকাতর পদার্থের কারখানা গড়ে তোলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, ধামরাই উপজেলায় বাইশাকান্দা ইউনিয়নের রগুনাথপুর এলাকার দীর্ঘদিন ধরে দুইটি অবৈধ সিসা কারখানা চলছিল এলাকাবাসীর অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে বেঙ্গলি দুইটি সিসা কারখানা ধবংস করা হয়। এ সময় একটি সিসা কারখানার মধ্যে মালিক শ্রমিক কেউ উপস্থিত ছিলো না, অপর কারখানাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে এইচ এম বি ব্রিকসকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আহমেদুল হক তিতাস বলেন, ব্যাটারির বর্জ্য পুড়িয়ে সিসা তৈরি করলে তা আশপাশে থাকা মানুষের শরীরে পয়জনিং (রক্তকণিকা ও মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতি) করে। এর ফলে মানসিক বিকৃতি ও রক্তশূন্যতা হতে পারে।
এ বিষয়ে ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধভাবে পরি চালিত ইটভাটা ও ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে পরিবেশের ক্ষতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২টি সীসা কারখানা ধবংসসহ একটি সিসা কারখানাকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং ইট ভাটাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/জেএ