শিরোনাম
◈ জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ব্যক্তি বিবেচনায় এলএনজি কেনা হচ্ছে না, পিটার হাসের কোম্পানি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ◈ বিসিএস পরীক্ষা: কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত ◈ চশমা ছাড়াই স্পষ্ট দেখা সম্ভব, কার্যকর আই ড্রপ উদ্ভাবন ◈ যেসব বিষয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন বেতন কাঠামোতে  ◈ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে ইসরা‌য়েল‌কে বহিষ্কারের দাবি জানা‌লেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ◈ কূটনৈতিক সংকট ছাপিয়ে বাণিজ্যে ভারত–বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে ◈ বিএনপিকে চাপে রাখতে জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলন ◈ এই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি ◈ এ‌শিয়া কাপ, রা‌তে আফগানিস্তা‌নের মু‌খোমু‌খি বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ০৫:২৫ বিকাল
আপডেট : ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ০৫:২৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আজ শেরপুরের সূর্যদী গণহত্যা দিবস

তপু সরকার : ২৪ নভেম্বর, শেরপুরের সূর্যদী গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী গ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায় পাক হানাদার বাহিনী এবং আলবদর ও রাজাকাররা হামলা চালিয়ে বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

হত্যা করে দুইজন মুক্তিযোদ্ধাসহ ৪৯ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে। পুড়িয়ে ছাই করে দেয় প্রায় দুইশ’ ঘরবাড়ি। বছর ঘুরে এ দিনটি এলেই স্বজন হারানোর বেদনায় ভারাক্রান্ত হন সূর্যদী গ্রামবাসী।

এলাকাবাসী জানান, ১৯৭১ সালের এদিন সকাল ৮টায় সূর্যদী গ্রামে জিপ আর ট্রাক বোঝাই পাক হানাদার বাহিনী গ্রামটিতে হামলা চালায়। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বৃহত্তর ময়মনসিংহের আলবদর প্রধান মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের নির্দেশে স্থানীয় রাজাকারদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই হামলা চালানো হয়। 

এলাকার লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই হানাদার বাহিনী ছুঁড়তে থাকে এলোপাতাড়ি গুলি।সেসময় হানাদার বাহিনীর হাত থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে নিজেদের নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও আত্মগোপনে থাকা ওই গ্রামেরই বাসিন্দা মাত্র ছয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলী, আবদুল খালেক, ফজলুর রহমান, হাবীবুর রহমান, মমতাজ উদ্দিন ও আবুল হোসেন সামনে এগিয়ে যান। এদিকে স্কুল মাঠে লাইনে দাঁড় করানো নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করার নির্দেশ দেয় পাকিস্তানি এক সেনা কর্মকর্তা।

ওইসময় গ্রামের একটি ধানক্ষেতে লুকিয়ে থাকা পার্শ্ববর্তী খুনুয়া চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আফসার উদ্দিন দূর থেকেই ফাঁকা গুলি করতে থাকেন। গুলির আওয়াজ পেয়ে পাকবাহিনীরা লাইনে দাঁড় করানো লোকদের ফেলে রেখে ছুটে যায় তার সন্ধানে। পরে মুক্তিযোদ্ধা আফসার উদ্দিন ও সূর্যদী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামানকে একটি ধানক্ষেতে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকসেনারা। সেইসাথে শহীদ হয় গ্রামের মোট ৪৯ জন।

স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫০ বছর পর ২০২১ সালের ১৮ মার্চ সূর্যদী এ আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের পর উদ্বোধন করা হয়।

সূর্যদী যুদ্ধ ও গণহত্যা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এম এ হাসেম জানান, দিনটি উপলক্ষে সূর্যদী এলাকায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত শহীদদের কবরগুলো চিহ্নিত করা হয়নি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সেগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণ এবং শহীদ পরিবারগুলোর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি তার।

প্রতিনিধি/জেএ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়