মনিরুজ্জামান, বোরহানউদ্দিন(ভোলা) : আব্দুল খালেক। বাসা টবগী ইউনিয়নের মনিরাম বাজার। বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে বাদাম, চাউল ভাজার সাথে তিষি ভাজা, ছোলা বাদাম বিক্রি করেন।
প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বিক্রি। এতে ৪০০-৫০০ টাকা আয় করেন। ৫ বছর ধরে এ কাজ করছেন।বর্তমানে এটাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করছেন।
সংসারে তার পাঁচ সদস্য। ২ মেয়ে ও ছেলে। ছেলে ইয়ামিন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বসত ঘর ছাড়া কিছুই নেই তার। এ কাজ করে সংসার নামক যন্ত্রের ঘানি টানছেন। সবার দেখভাল করলে ও নিজের সুখ-দুঃখ দেখার সুযোগ নাই? কেমন চলছে দিনকাল? এমন প্রশ্নে বলেন, আর পারছি না।
সংসার আর চলছে না। তিনি বলেন, ৩-৪ বছর আগেও তার এই আয়ে মোটামুটি সংসার চলতো। এখন সংসারে বেশ টানাপোড়ন। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের বেশ গরমিল। মিলাতে পারছেন না জীবনের হিসেব। খরচের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না।
খালেক বলেন, আগে ৩০০-৪০০ টাকাতে ও সংসার চলতো। এহন ৫০০ টাকাতেও চালাতে পারি না। প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ডাল ভাত খাইয়া কোন রকম ব্যাঁইচা আছি। মাছ সেতো দূর্লভ কিছু।
৫০০ টাকার নিচে কোন মাছ কেনা যায় না। কোরবানি ঈদ ছাড়া গরুর মাংস কিনে খেতে পারেনি। মাঝেমধ্যে সন্তানদের আবদার মিটাতে বয়লার মুরগী কিনতে হয়। বর্তমানে যার দাম বৃদ্ধি হয়ে ১৮০ টাকা হয়েছে। আর সোনালী সেটা তো ৩২০ টাকা কেজি।
তিনি বলেন, লাল ডিমের হালি ৪৮ টাকা। হাঁসের ডিমের হালি ৬০ টাকা। মোটা ডাল ৬৫ টাকা। ক্যামনে খামু? ডাল, আলু ভর্তা, আর শাক তার পরিবারের নিত্যসঙ্গী।
ছেলে মেয়ের চাহিদা মিটাতে পারি না।বাবা হিসাবে এটাই কষ্টের।সম্পাদনা: আল আমিন