হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ৮ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. মোজাম্মেল (২২) নামে মসজিদের এক মক্তব শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে তাকে ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে (০৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার মোহাম্মাদিয়া মাদ্রাসার পাশ থেকে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোজাম্মেল নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর থানার ভরতপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই এর ছেলে।
এছাড়া সে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের আব্দুল সিকদারের ডাঙ্গী (জামিয়া ইসলামীয়া মারকাজুল উলুম মাদ্রাসার) জামাত বিভাগের শিক্ষার্থী ও পাশাপাশি একই ইউনিয়নের একটি জামে মসজিদের মক্তবের শিক্ষক।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬;টার দিকে শিশুটি প্রতিদিনের মতন ওই মসজিদে আরবী শিখতে যায়। আরবী পড়ানোর এক পর্যায়ে মক্তব শিক্ষক মোজাম্মেল ওই ছাত্রীকে আলাদাভাবে পড়ানোর কথা বলে মসজিদে রেখে দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর মসজিদ থেকে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে গেলে শিশুটিকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তার স্যালোয়ার কামিজ খুলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠে। মেয়েটি চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দেয় এবং এই ঘটনার কথা কারো কাছে না বলার জন্য তাকে টাকার লোভ দেখায়। মেয়েটি বাড়িতে এসে তার মাকে সব কিছু খুলে বলে। মেয়েটির মা ওই মসজিদ কমিটির লোকদের বিষয়টি অবহিত করেন। পরে মসজিদ কমিটি ও ওই মাদ্রাসার শিক্ষকদের কাছ থেকে কোন সুবিচার না পেয়ে মেয়েটির মা বাদী হয়ে চরভদ্রাসন থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত ওই ইমামের মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি শফিউল্লাহ বলেন, ঘটনার দিন সকালে মসজিদ কমিটির সদস্যরা তাকে ফোন করে বলে তাদের মাদ্রাসার এক শিক্ষক মক্তবের এক শিক্ষার্থীকে খারাপভাবে স্পর্শ করেছে। আমরা ওই শিক্ষার্থীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে পড়া না পারার জন্য আমি মেয়েটিকে শাসন করেছি। আমরা এই ঘটনার পর মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত মোজাম্মেলকে বহিষ্কার করেছি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামি মোজাম্মেলকে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার মোহাম্মাদিয়া মাদ্রাসার পাশ থেকে আটক কর হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।