শিরোনাম
◈ ৪৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ ◈ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর পেলেন ‘সি’ গ্রেড: গ্লোবাল ফাইন্যান্সের মূল্যায়ন ◈ স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ল: দেশে ২২ ক্যারেটের ভরি এখন ২ লাখ ৮ হাজার টাকার বেশি ◈ সীমান্ত পাড় হওয়ার চেষ্টা, পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেপ্তার ◈ ২২ বিচারপতিকে স্থায়ী নিয়োগ ◈ বিএনসিসি মানে আত্মমর্যাদা ও শৃঙ্খলা: প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ‘অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ার’ করে হত্যার নির্দেশ দিলেন সিএমপি কমিশনার ◈ অতীতের জটিলতা ভুলে বাস্তবতার পথে বাংলাদেশ-পাকিস্তান, নতুন উদ্যোগে থাকছে যা যা ◈ বাংলাদেশের ক্যাচ মিসের মহড়া, প্রথম দিন শে‌ষে স্বস্তিতে আয়ারল্যান্ড ◈ দেশের সব বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা জারি

প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ০৮:১৮ রাত
আপডেট : ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টাঙ্গাইলে নির্বাচন কার্যালয় ভাঙচুর: বিএনপির ১২০ নেতাকর্মীর নামে মামলা

আরমান কবীর, টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের মারধরের ঘটনায় বিএনপির ১২০ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকালে গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

মামলায় গোপালপুর উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী, পৌর বিএনপি'র সভাপতি খালিদ হাসান উত্থান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন, যুগ্ম সম্পাদক মহির উদ্দিন, যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম এবং পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মো. তুহিনের নাম উল্লেখ মামলা করা হয়েছে। বাকিরা অজ্ঞাত পরিচয়।

মামলায় বলা হয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খালিদ হাসান ও কাজী লিয়াকতের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। তাদের কি সেবা দিতে হবে জানতে চাইলে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, ‘তোরা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেছিস’। পরে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।

প্রতিবাদ করলে নির্বাচন কর্মকর্তার ওপর হামলা ও কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় কয়েকজন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাদের ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গালিগালাজ করা হয়। হামলায় অন্তত ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু রায়হান, ডাটা এট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন বলে মামলায় বলা হয়েছে।

ভাঙচুরের খবর পেয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন বলেন, “আমরা শুধু ফেরাতে গিয়েছিলাম। কাউকে কোনো কিছু বলিনি। আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে আমাদের বেদম মারধর করা হয়েছে। “এখনো জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি, তার আগেই নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, “তারা (বিএনপি নেতারা) বিভিন্ন সময় কাজে আসেন। সোমবার এসেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ আওয়ামী লীগ ট্যাগ দেওয়া শুরু করেন। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি করছি।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তাদের কাছে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে নিরাপত্তার জোরদারের দাবি করেছি। “এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি। জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন হামলা হবে, তা আমরা কখনও কল্পনাও করিনি।”

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “তাদের কোনো ভুল থাকলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে অবগত করতে পারত। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়