শিরোনাম
◈ বাংলাদেশে অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীকে কাজ করতে দেওয়া হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ৪৮ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা, ভারী বর্ষণের শঙ্কা ◈ খেলতে গিয়ে নদীতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু, চলছে নিখোঁজ দুইজনের উদ্ধারকাজ ◈ শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ তুরস্কে ১,৬০০ বছরের প্রাচীন ওয়াইন তৈরির কারখানা উদ্ধার! ◈ ভারতের ৩৯% অবিবাহিত মনে করেন বিয়ে আর জীবনের মাইলফলক নয়, এটি ঐচ্ছিক ◈ বাংলাদেশে চতুর্থ গণভোটের আলোচনা: সংবিধানে কী আছে, আগের অভিজ্ঞতা কী বলছে ◈ বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ কর‌লো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও কেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হলো না?  ◈ নূর ভাই বেঁচে আছেন, সে বেঁচে থাকা মৃত‍্যুর চেয়ে একটু ভালো: অভিনেতা আফজাল হোসেন

প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ০৮:৪১ রাত
আপডেট : ০১ নভেম্বর, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুরাদনগরে নিখোঁজের ৭দিন পর গলায় পাথর বাঁধা অবস্থায় শিশু আদিবার লাশ উদ্ধার

এন এ মুরাদ, মুরাদনগর: কুমিল্লার মুরাদনগরে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুর থেকে গলায় পাথর বাঁধা অবস্থায় ছয় বছর বয়সী শিশু আদিবার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন সিমানারপাড় গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

শিশুটির নাম আদিবা জাহান মীম (৬)। তিনি সিমানারপাড় গ্রামের আবু হানিফের মেয়ে। আবু হানিফ পেশায় একজন চাকুরীজীবী। গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে শিশুটি বাড়ির আশপাশেই খেলছিল। হঠাৎ সন্ধ্যার পর থেকে শিশুটিকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতভর শিশুটির স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। কিন্তু তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ মিয়া পুকুর পাড়ে বাঁশ কাটতে গিয়ে শিশুটির লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম কামরুজ্জামান। 

স্থানীয়রা ধারণা করছেন, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শিশুটির গলায় রশি পেঁচিয়ে, সেই রশি দিয়ে একটি বড় পাথর বেঁধে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে।

নিহত শিশু আদিবার বাবা আবু হানিফ জানান, আমি ঢাকায় চাকরি করার সুবাদে গ্রামের বাড়িতে মাঝেমধ্যে আসি। ঘটনার দিন আমি বাড়িতেই ছিলাম। বাড়িতে আসলে আদিবা সবসময় আমার সাথেই থাকে। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় আদিবা কে আমার সাথে করে বাজারে নিয়ে যেতে পারিনি। বাড়ি ফিরে শুনি আদিবা খেলতে গিয়ে আর ঘরে ফিরেনি। তারপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাইনি। যেই পুকুরটি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানেও আমরা লোকজনকে পানিতে নামিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছি। তখন সেখান থেকে কোন কিছুই পাওয়া যায়নি। আমি চাই আর কোন বাবার বুক যেন খালি না হয়। প্রশাসন যেন খুনীকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন। 

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়