হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামে চাঞ্চল্যকর এক হত্যাচেষ্টা ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (০৪ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়ি মিলে এক ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। হত্যার উদ্দেশ্য ছিল তার দেওয়া ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা।
ভুক্তভোগী ঠান্ডু বেপারী (৩৫) সদরপুর উপজেলার ছলেনামা এলাকার বেপারীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপ ব্যবসা পরিচালনা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে ঠান্ডু বেপারীকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হওয়ার পর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তার স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৮), শাশুড়ি শহিদা বেগম ও দাদিশাশুড়ি জানকি বেগম মিলে তাকে কাস্তে দিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এর আগে পাশের ঘরের বারান্দায় একটি কবর প্রস্তুত করে রাখা হয়।
তবে মুখে দাড়ি থাকায় গলা পুরোপুরি না কাটায় ঠান্ডু বেঁচে যান এবং চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। এরপর স্বামী ঠান্ডু বেপারীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং সদরপুর থানা পুলিশকে খবর দেন তারা।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায়। তিনি জানান, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এমন নির্মম ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।