আইরিন হক, বেনাপোল (যশোর): বিদেশে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় মাত্র ১৩ দিন আগে সাইপ্রাসে পাড়ি জমানো হাফিজুর রহমান (৪৫) নির্মাণ কাজে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি যশোরের বেনাপোল সীমান্তের পুটখালি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। ছয় দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর হাফিজুর সাইপ্রাসে যান। বিদেশ যেতে খরচ হয়েছিল প্রায় ১২ লাখ টাকা, যার মধ্যে ৭ লাখ টাকা ধার করতে হয়েছিল। ১৭ সেপ্টেম্বর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু প্রথম কর্মদিবসেই ঘটে দুর্ঘটনা—অসাবধানতাবশত সাততলা ভবনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান হাফিজুর। গুরুতর আহত অবস্থায় সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয় দিন পর তিনি মারা যান।
হাফিজুরের অকাল মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোক। একইসাথে তিনি রেখে যাওয়া দেনার বোঝায় পরিবার এখন দিশেহারা। পুটখালি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তানজিলা খাতুন জানান, সংসারের অভাব কাটাতে বিদেশে গিয়েছিলেন হাফিজুর। তাকে হারিয়ে পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেল। মরদেহ দ্রুত দেশে ফেরাতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানিয়েছেন, নিহতের পরিবার চাইলে সরকারি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। একইসাথে মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে প্রশাসন সহায়তা করবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজুর ছাড়াও গত এক বছরে বিদেশে কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বেনাপোল সীমান্ত এলাকার আরও কয়েকজন—আসাদুল, রুবেল, রনি, জুবায়ের, জাহিদ, শাহাজান কবীর ও মুকুল।