২০১৬ সাল থেকে পরিচয়। তারপর থেকে ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক, গড়িয়েছে শারীরিক সম্পর্কেও। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন থেকে বিয়ের আশ্বাসে বিয়ে না করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করায় প্রেমিক হৃদয়ের (২৯) নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে গত রোববার হাজির হয়েছেন ঢাকার ডেমরার একটি বিউটি পার্লারের মালিক এক সন্তানের জননী বিধবা রুপা (২৭)।
রুপা জানান, সে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে কাজ করতো। যার সুবাদে নোয়াখালীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে নাচ করতে আসতে হতো। এ সময় তার সঙ্গে নাচের জুটি হিসেবে কাজ করতো হৃদয়, সেখান থেকে মন দেয়া-নেয়া। তারপর তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার ও চাটখিলের একটি আবাসিক হোটেল এবং হৃদয়ের বাড়ি সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ঘাসেরখিল গ্রামের বাড়িতে রুপার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে।
এভাবেই চলছিল রুপা আর হৃদয়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। কিন্তু গত শনিবার রুপা জানতে পারে হৃদয় তার অজান্তেই অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। আর এটা জেনেই সে রোববার ছুটে আসে হৃদয়ের বাড়িতে। কিন্তু রুপার ফিরে আসার খবরে হৃদয়সহ পুরো পরিবার ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। হৃদয়ের খোঁজে গত দু’দিন থেকে রুপা তাদের বাড়িতে অবস্থান নেয়।
রুপা আরও জানায়, সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে হৃদয় বিভিন্নভাবে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে তিন লাখ টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছে। এর আগেও বিয়ের দাবিতে হৃদয়ের গ্রামের বাড়িতে এলে রুপাকে হৃদয় ও তার বাবা খায়রুল বাসারসহ তার পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করে এবং তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়।
কিন্তু পরবর্তীতে হৃদয় তার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিলে সে পুনরায় তাদের বাড়িতে এলে হৃদয় এবং তার বাবাসহ পরিবারের লোকজন তার ওপর নির্মম নির্যাতন করে। গত রোববার হৃদয়ের বাড়ির আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বললে হৃদয়ের নারীঘটিত বিষয় নিয়ে একাধিক তথ্য জানা যায়।
তারা বলেন, হৃদয় এ রকম ঘটনা আগেও ঘটিয়েছে। এলাকাবাসী হৃদয়ের এসব অপকর্মের বিচার দাবি করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবলুর সঙ্গে কথা বললে তিনি মানবজমিনকে জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। এই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্ত করে ভুক্তভোগীকে আইনগতভাবে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলেও জানান তিনি। সূত্র: মানবজমিন