চরভদ্রাসন ও সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: গৃষ্মের প্রচন্ড দাবদাহ আর বর্ষার অবিরাম বৃষ্টি শেষে শুভ্রতা আর স্নিগ্ধতার অপার সৌন্দর্য্য নিয়ে বাংলার প্রকৃতিতে হাজির হয় শরতকাল। শরতকে বলা হয় ঋতুর রাণী এসময় দেখা যায় নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ।
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের ফরিদপুরের প্রকৃতি সেজে উঠে আপন মনে, পদ্মা নদীর তীর ঘেষে দেখতে পাওয়া যায় কাশফুলের সৌন্দর্য্য মনমাতানো কাশবন। তেমনই একটা স্থান ফরিদপুর এর সদরপুর উপজেলার আকটের চর, যেখানে দেখা মিলবে কাশবনের, এ যেনো কাশবনের সমুদ্র যে দিকে দু চোখ যায় শুধু কাশফুল আর কাশফুল । মনে হবে এই কাশফুলের সমুদ্রে নিজেকে ভাসিয়ে দেই ।
কাশবনে হিমেল বাতাস দোল খাচ্ছে সেই সাথে আকাশে শুভ্র মেঘের ভেলা পরিবেশটা কতটা যে সুন্দর তা বলে বোঝানো যাবে না।
তবে এই সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে হলে নদী পার হয়ে তারপরই এই সৌন্দর্য্যের দেখা মিলবে।
যেভাবে যাবেন আকোটের চরে:
তিনদিক দিয়ে যাওয়া যায় এই আকোটের চরে ফরিদপুর সদর থেকে প্রথমে আসবেন চরভদ্রাসন বাজার সেখান থেকে মনিকোঠা বাজার হয়ে আকোটেরচর বাজার যেতে পারবেন। আবার সদরপুর দিয়েও যেতে পারবেন, ফরিদপুর থেকে প্রথমে আসতে হবে সদপুর তারপর মনিকোঠা বাজার থেকে আকোটের চরে এলেই পেয়ে যাবেন এই কাশবনের দেখা। ফরিদপুর সুপার মার্কেট থেকে সি এনজি মাহেন্দ্র বা ইজিবাইকে করে যেতে পারবেন। রিজার্ভ
করে যাওয়ােই ভালো যেতে ১ ঘন্টা ২০ মিনিট লাগতে পারে আসতেও এমন সময় তাই যাওয়া আসার সময় হাতে রেখে যাওয়াই ভালো। বর্তমানে নদীর বাশের সাকো নির্মিত হয়েছে, জন প্রতি ১০ টাকা আগে নৌকায় পার হতে হতো।