সময়ের আলো প্রতিবেদন: এক বছর আগেও কুমিল্লার রাজনীতি ছিল বিএনপির জন্য কঠিন। আমায়াতের কার্যক্রমও তখন চলত প্রায় গোপনে। কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পতনের পর ৫ আগস্টের পর থেকেই আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী মাঠ থেকে সরে গেছেন। এখন কুমিল্লার রাজনীতিতে সক্রিয় বিএনপি। বিএনপির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জামায়াতও চোখে পড়ছে জেলার ১৭টি উপজেলা ও ১৮টি খানার সব এলাকায়। কুমিল্লার দক্ষিণে ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পাঁচটিতেই বিএনপির অবস্থান বর্তমানে বেশ শক্তিশালী।
তবে নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে দলীয় গ্রুপিং প্রকাশ্যে এসেছে। কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের দীর্ঘদিন ধরে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হয়ে আসছেন। ফলে আসনটিতে ভোটের মাঠে এগিয়ে আছেন জামায়াত। তবে দক্ষিণ কুমিল্লার ছয়টি আসনে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কোনো তৎপরতা এখনও দেখা যায়নি।
এদিকে সীমান্ত পুনর্বিন্যাসের কারণে কুমিল্লা-৯, ১০ ও ১১ আসনে উত্তেজনা এখন সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে চূড়ান্ত পরিবর্তনের ফলে কিছু বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থী বিপাকে পড়েছেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দক্ষিণ জেলার তিনটি সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এই হঠাৎ পরিবর্তন হওয়া কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা রাজনীতিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলার নেতারা অসন্তুষ্ট। বৃহত্তর এই দুটি উপজেলাকে নাঙ্গলকোট ও কুমিল্লা সদরের সঙ্গে যুক্ত করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা আগের সীমানা বহাল রাখার দাবিতে নিয়মিত আন্দোলন করছেন।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, উপজেলার এই বিভাজন জনগণের প্রতি অন্যায়। তবে কুমিল্লা দক্ষিণের সব আসনে বিএনপির জনপ্রিয়তা রয়েছে, এখানে সব আসনে বিএনপির প্রার্থী জয় লাভ করবেন। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের বলেন, কুমিল্লা দক্ষিণের বেশ কিছু সংসদীয় আসন নিয়ে ঝামেলা চলছে, যা নির্বাচন কমিশনার সমাধান করছেন। কুমিল্লার দক্ষিণে ছয়টি আসনের মধ্যে বেশ কিছু আসনে জামায়াতের প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। ইনশাল্লাহ ভালো কিছু হবে।
এ ছাড়া কুমিল্লা দক্ষিণের চারটি আসনে জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ভোটারদের জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ভারতের সঙ্গে সংলগ্ন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ সীমান্তে অবস্থিত এই এলাকার ভোটাররা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সরাসরি প্রভাব ফেলে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষের জীবনধারা প্রায়ই সীমান্ত নিরাপত্তা, অবৈধ পেশাজীবন ও সীমান্তবর্তী জলাধার, সেচ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে ভোটারদের রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়ানো এবং তাদের নাগরিক অধিকার রক্ষায় নির্বাচন কমিশনকে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন।
কুমিল্লা-৮ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ): জেলার সবচেয়ে বড় আসন এটি। এখানে বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল কালাম ওরফে চৈতী। দীর্ঘদিন ধরে প্রচার ও মিটিং মিছিল করছেন। এ ছাড়া জামায়াত একক প্রার্থী হিসেবে ড. সৈয়দ একেএম সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকীয় নাম ঘোষণা করায় তিনি প্রচারের মাঠে বেশ সুবিধা পাচ্ছেন। অপরদিকে বিএনপির একাধিক নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী। ওভেল গ্রুপের পরিচালক সামিরা হোসেন দোলা, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট এটিএম আলমগীরের ভাই সাবেক জনপ্রশাসন সচিব ড. একেএম জাহাঙ্গীর, শাহ শরীফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবারক উল্লাহ মজুমদার, নেক্সাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এবং নব্বইয়ের ডাকসু সদস্য ড. রশিদ আহমদ হোসাইনী।
এ ছাড়া ইসলামিক ফন্টের প্রার্থী মীর মো. আবু বাকার, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সেলিম মাহমুদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ কে গ্রুপের (এ কে ট্রেডার্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ খালেক সরব আছেন।
কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া): বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া আসনটি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির শক্ত অবস্থান হিসেবে পরিচিত। সর্বশেষ ২০০১ সালে এই আসন থেকে বিএনপি মনোনীত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুস সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে বিএনপির ভেতরে গ্রুপিং আছে। বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসনটি দুর্বল নেতৃত্বের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কিছু অংশ এবং ভারত সীমান্তবর্তী বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপির ভোট বেশি থাকলেও নির্বাচনে সুবিধা করতে পারেন না প্রার্থীরা।
স্বাধীনতার পর শুধু ২০০১ সালে জিতেছিল ধানের শীষ। এ ছাড়া প্রতিবার মনোনয়ন বিতর্কে ডুবেছেন দলটির প্রার্থীরা। এবার মনোনয়ন চাইবেন ২০০৮ সালের প্রার্থী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এসএম আলাউদ্দিন ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন, বুড়িচং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম মিজানুর রহমান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী জসিম উদ্দিন।
এদিকে আসনটিতে অবস্থান জোরদার করতে হেভিওয়েট প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. মোবারক হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নানা কর্মসূচির মাধ্যমে হরদম চালাচ্ছেন প্রচার। উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছেন তরুণ ভোটারদের। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকার চেষ্টা করছেন। তবে এখনও ঘোষণা হয়নি এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও এবি পার্টির প্রার্থীর নাম।
এটিএম মিজানুর বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুবার পাস করার পরও শপথ নিতে পারিনি। দল থেকে সম্মান করে ২০১৮ সালে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। আমি দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি বিশ্বাস করি, পরীক্ষিত ও নিবেদিত কর্মী হিসেবে এবারও টিকেট পাব। হাজী জসিম বলেন, ছাত্রজীবন থেকে জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতির করছি। তিন দশক ধরে কুমিল্লা-৫ নির্বাচনি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছি। দল আমার ত্যাগ ও অবদানের বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আশাবাদী।
কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ): কুমিল্লা সদর আসনটি আদর্শ সদর উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস এলাকার সমন্বয়ে গঠিত। সাম্প্রতিক নির্বাচন কমিশনারের সীমানা পুনর্বিন্যাসে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা যুক্ত হয়। এতে করে বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিনের সঙ্গে বিএনপির মনোনয়নের জন্য যুদ্ধ করতে হবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরীকে। ২০০১ সালে বিএনপির প্রয়াত কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন বীরপ্রতীক জয়লাভ করেছিলেন। ২০০৬ সালে মৃত্যুর পর থেকে বিএনপির নিয়ন্ত্রণে ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমিনুর রশিদ ইয়াছিন। ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইয়াছিনের ওপর আস্থা রাখে বিএনপি।
এ আসনে দীর্ঘদিন বিএনপি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তাই এবার ভোটের মাঠে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় আছে জামায়াতসহ অন্য ইসলামি দল। গুঞ্জন রয়েছে কুমিল্লার এই আসনে যে প্রার্থী বিজয়ী হন, তার দল সরকার গঠন করে। এ জন্য আসনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এবার বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় আছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সান্ধু। তিনিও চালাচ্ছেন প্রচার। আগের সিটি নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। সাক্কু এবার সংসদ নির্বাচন করতে চান। বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশে বিষয়টি স্পষ্টও করেছেন তারা। আসনটি দখলে নিতে মনিরুল হক
চৌধুরীর মতো এই দুজনই মরিয়া।
তাদের বাইরে মনোনয়ন চাইবেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির (কুমিল্লা বিভাগীয়) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য কায়সার জামান বাপ্পী এবং কুমিল্লা বারের পিপি সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর ছোট ভাই ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাইয়ুমুল হক রিংকু।
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ আসনে নতুন করে ঘাঁটি গাড়তে চায় জামায়াত। দলটি এবার প্রার্থী ঘোষণা করেছে মহানগর শাখার আমির কাজী দ্বীন মুহাম্মদকে। প্রচারে এগিয়ে থাকায় তার পাল্লা কিছুটা ভারী হতে পারে। নানা কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি জনগণের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলাম, এনসিপি, এবি পার্টি এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরাও মাঠে সরব আছেন।
কুমিল্লা-৯ (বরুড়া): বরুড়া আসনে বিএনপির শক্ত অবস্থান বিদ্যমান। কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের (সুমন) মনোনয়ন পাচ্ছেন এটি শতভাগ নিশ্চিত। কারণ বিএনপি তারেক রহমানের আস্থাভাজন নেতা হিসেবে সুমনের বেশ পরিচয় রয়েছে। এ ছাড়া এই আসনে স্থানীয় বিএনপিতে গ্রুপিং নেই। জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন শফিকুল আলম হেলাল, কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। এনসিপি এই এলাকায় তৎপরতা একেবারে সীমিত।
কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট ও লালমাই) এই আসনটি তিনটি উপজেলা থেকে একটি উপজেলা বাদ দিয়ে নতুন করে তৈরি করা হয়। আগে কুমিল্লা-১০ গঠিত ছিল সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট উপজেলা নিয়ে। এখানে সদর দক্ষিণকে বাদ দিয়ে নতুন এ পুনর্বিন্যাসকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন নাঙ্গলকোটের বাসিন্দারা। তারা এই সীমানা বহাল রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়ে ছিলেন।
তবে এখানে বিএনপির দুই নেতা এবার মনোনয়নপ্রত্যাশী। ২০০৮ সালে মনোনয়ন পাওয়া দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া ও ২০০১ সালের সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়া। এদিকে জামায়াতের একক প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত। ইতিমধ্যে তিনি ব্যাপক প্রচার পেয়েছেন। নানা কর্মসূচি নিয়ে যাচ্ছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। তরুণ এই প্রার্থী প্রচারে এগিয়ে থাকায় মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারছেন বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। তবে এই আসনে নতুন যুক্ত হওয়া লালমাই উপজেলার এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদীন শিশিরের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) এই আসনটি দীর্ঘদিন জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এখানে হেভিওয়েট প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি আগেও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপির মনোয়নপ্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বিএনপি একক ইলেকশন করলে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তাকে দেখা যেতে পারে। তিনি নতুন করে ইতিহাস গড়তে চান। ইতিমধ্যে নানারকম বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আছেন তিনি। দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী আরও কয়েক নেতা হলেন-কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কাজী নাসিমুল হক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. গোলাম কাদের চৌধুরী নোবেল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এএনএম নিয়াজ মাখদুম মাসুম বিল্লাহ।
দক্ষিণের একাধিক সাধারণ ভোটার বলছেন, নতুন বাংলাদেশে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। এটি অন্যরকম উৎসবের নাম। তাই আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিতে চায় জনগণ। আগের মতো ব্যালট ছিনতাই ও কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটবে না বলে সবার প্রত্যাশা। একই সঙ্গে চাঁদাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্ত, টেন্ডারবাজ ও সন্ত্রাসীরা যেন আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে, সে বিষয়ে সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে। তরুণ ভোটার বলেন, 'আমরা মনে করি ফেয়ার নির্বাচন হবে। জনগণ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে। প্রার্থীদের বাস্তবসম্মত ইশতেহার দিতে হবে এবং তা পূরণ করতে হবে। রাজনীতিবিদদের প্রতিশ্রুতি, যোগ্যতা, সততা ও দেশপ্রেম দেখেই ভোট দেব।'