হাবিবুর রহমান সোহেল, কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের মহেশখালীতে ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলিতে পুলিশের তিন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প সংলগ্ন কোহেলিয়া সেতুর কাছে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার পর, অস্ত্র কারবারী ও ডাকাতদের আস্তানা ধ্বংসে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মহেশখালীর কালারমারছড়ার গহীন পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে র্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। অভিযানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় আড়াই শতাধিক সদস্য অংশ নিয়েছেন। ড্রোনের সাহায্যে সন্দেহভাজন অস্ত্রের আস্তানা শনাক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ডাকাতের গুলিতে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন মহেশখালী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ সেলিম (৩৬), কনস্টেবল সোহেল (৪৪) ও কনস্টেবল মো. মাসুদ (৩৬)। গুরুতর আহত তিনজনকে প্রথমে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রেক্ষাপট:
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে নিয়মিত চোরাই মালামাল পাচার হয়। এসব মালামাল বহনকারী গাড়ি থামিয়ে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি ও লুটপাট করে আসছিল। বুধবার রাতেও ১০-১৫ জনের ডাকাত দলটি ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে ডাকাতরা পাল্টা গুলি চালায়, এতে তিন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হন।
ধারণা করা হচ্ছে, সম্প্রতি অস্ত্রসহ আটক হওয়া পাচারকারী ও কারিগরদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘আহত পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসাধীন আছেন। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।’