মিজান লিটন, চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কৃষকরা সরকারি মূল্যে সার না পেয়ে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে কৃষকের সুবিধার্থে ৯ জন ব্যবসায়ীকে সাব-ডিলারশিপ দেওয়া হলেও এর মধ্যে বেশিরভাগই কার্যত অচল। ডিলাররা সার উত্তোলনের নাম করে অন্যত্র বিক্রি করছেন বা ব্যবসাই চালাচ্ছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন সময়ে ডিলারশিপ নিলেও অনেকেই ব্যবসা শুরুই করেননি। কাগজে-কলমে সার উত্তোলনের হিসাব দেখানো হলেও বাস্তবে ডিলার পয়েন্টে সারের অস্তিত্ব নেই। ফলে কৃষকরা নির্ধারিত মূল্যে সার না পেয়ে খুচরা বাজার থেকে অতিরিক্ত দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
অচল ডিলারশিপের তালিকা
মোট ৯টি ডিলারশিপের মধ্যে কোনো রকমে ৪টি সচল থাকলেও বাকি ৫টি পুরোপুরি অকার্যকর। এসব ডিলাররা হলেন—
এদের কারও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই, তবে নামেই ডিলারশিপ চালু আছে।
কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, সরকারি ডিলারশিপ থাকলেও তারা সার না পেয়ে খুচরা দোকান থেকে বেশি দামে কিনছেন। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। প্রান্তিক চাষীরা ইউরিয়া, টিএসপি ও ডিএপি সার না পাওয়ায় চলতি মৌসুমে ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে।
কৃষক সজিব গাজী, হারুন ভূঁইয়া, শরিফ ও সংকরিরা বলেন, “ডিলাররা মূলত রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনুমোদন নিয়েছিল। এখন তারা ব্যবসা না করায় আমাদের অতিরিক্ত দামে সার কিনতে হচ্ছে। একটি সিন্ডিকেট বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে।”
চাঁদপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তপন রায় বলেন, “বিষয়টি জানার পর সংশ্লিষ্ট ডিলারদের শোকজ করা হয়েছে। তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ডিলারশিপ নিয়ে বসে থাকা কিন্তু ব্যবসা পরিচালনা করছেন না—এমন ব্যক্তিদের লাইসেন্স বাতিল করে প্রকৃত ব্যবসায়ী ও যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে নতুন ডিলারশিপ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।