তপু সরকার হারুন, জেলা প্রতিনিধি শেরপুর: মেঘালয়ের কোল ঘেঁষা সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাও ইউনিয়নে অবস্থিত নন্নী বাজার থেকে মধুটিলা ইকোপার্ক গামী এলজিইডির আওতাধীন প্রায় ৬ কিলোমিটার মূল সড়ক দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ফলে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা পর্যটকগণ ও স্থানীয় হাজার হাজার বাসিন্দারা সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিগত ২০২৪ সালে ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনে গারো পাহাড়ের বিভিন্ন নদীতে শুরু হয় ব্যাপক হারে বালু উত্তোলন।এবং সে বছর এ এলাকায় প্রলয়ঙ্করী বন্যা হওয়ার দরুন নন্নী বাজার থেকে আমবাগান হয়ে বারোমারী মিশন গামী রাস্তার কয়েক স্থানে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে উত্তোলনকৃত শত শত ট্রাক বালু ওভারলোড করে মধুটিলা ইকোপার্ক গামী রাস্তা দিয়ে পরিবহন করায় পুরো ৬ কিলোমিটার পাকা সড়ক ভেঙে খান খান হয়ে যায়।
পুরো রাস্তা জুড়ে তৈরি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য খানাখন্দ। এজন্য যান চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হওয়া সহ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রাস্তায় চলাচল কারী স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের। পর্যটন খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান রাস্তা নষ্ট হওয়ার ফলে মধুটিলা ইকোপার্ক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকের সংখ্যা বহু গুনে হ্রাস পেয়েছে। আসন্ন শীতের পর্যটন মৌসুমে যদি রাস্তা সংস্কার না করা হয় তাহলে পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের সংখ্যা কমে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ আলম বলেন, শেরপুর থেকে মধুটিলা ইকো পার্ক যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। যেভাবে রাস্তাটির কাজ করার কথা ছিলো সেভাবে কাজ করা হয়নি। ফলে গত ১ বছরে ওভারলোড বালু পরিবহন করার কারণে রাস্তাটি সহজে ভেঙে গেছে। পিকনিক মৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে শতশত বাস মিনিবাস অন্যান্য যান দিয়ে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। রাস্তা খারাপ হওয়ায় পর্যটকদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হবে। ফলে পর্যটকের সংখ্যা কমতে পারে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হোক।
বিষয়টি নিয়ে শেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা রাস্তাটি পরিদর্শন করে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। প্রকল্প বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই সংস্কার কাজ শুরু হবে।