শিরোনাম
◈ রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ, ১৪টি শহর বিদ্রোহীদের দখলে, নজর রাখছে চীন ও ভারত ◈ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে: সালাহ উদ্দিন আহমদ ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে রোববার সন্ধ্যায় বৈঠক করবেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা কার্নির ◈ আমাদের উপদেষ্টা যারা দায়িত্ব পালন করছেন, এখন অনেক ক্ষেত্রেই তারা অসহায়: মির্জা ফখরুল ◈ পরাজ‌য়ে শুরু, পরাজয় দি‌য়ে শেষ বাংলা‌দেশ দ‌লের টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ◈ আমাকেও বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হতে পারে: অমর্ত্য সেন ◈ ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ‘ঐতিহাসিক’ বলছে ইসলামাবাদ ◈ ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সময় জানাল এনসিটিবি ◈ মামুনুল হক যা বললেন জামায়াতের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৫:০৮ বিকাল
আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:০১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রায় ৭ লাখ মানুষের চিকিৎসায় মাত্র ১৩ জন চিকিৎসক, বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট ও নানা অনিয়ম, ভোগান্তিতে রোগীরা

কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার প্রায় ৭ লক্ষ মানুষের একমাত্র ৫০ শয্যার সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকট ও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে জরুরি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। প্রতিষ্ঠানে ৩৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন মাত্র ১৩ জন। ফলে প্রতিদিন শত শত রোগী আশানুরূপ সেবা না পেয়ে বিকল্প হিসেবে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দিকে ঝুঁকছেন।  

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে স্থাপন করা বায়োমেট্রিক মেশিন দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। এর অজুহাতে অনেক চিকিৎসক ইচ্ছামতো আসা-যাওয়া করেন। রোগীদের অভিযোগ, সকাল বেলায় দেরিতে এলেও দুপুর ১টার পর অধিকাংশ চিকিৎসক প্রাইভেট চেম্বারের দিকে চলে যান।  

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২২টি চিকিৎসক পদ শূন্য। ২০১২ সাল থেকে রেডিওলজি কনসালটেন্ট নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান সংকট থাকায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ল্যাব সুবিধা কার্যত অচল। নার্স, মিডওয়াইফ, ফার্মাসিস্ট, ল্যাব টেকনোলজিস্টসহ বিভিন্ন পদেও শূন্যতার সংখ্যা প্রচুর।  

পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ না থাকায় বাইরে থেকে কিনতে হয়। আল্ট্রাসনো মেশিন থাকলেও প্রিন্টার নষ্ট। নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে। খাবারের মান নিয়েও রোগীদের ক্ষোভ। সরকারিভাবে দৈনিক ১৭৫ টাকা বরাদ্দ থাকলেও অভিযোগ, খাবারে যথাযথ পুষ্টি ও মান নিশ্চিত করা হচ্ছে না।  

আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তৌফিকুল আলম বলেন, "জনবল সংকট থাকায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, বাউন্ডারি ওয়াল ও হাসপাতালের সৌন্দর্যবর্ধনে কাজ করেছি। এখন ৮০% রোগী সেবা পাচ্ছে। জনবল সংকট দূর হলে পূর্ণাঙ্গ সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।"*  

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে জনবল ঘাটতি, সরঞ্জাম অচল, ওষুধ সংকট এবং খাদ্য বিতরণে অনিয়ম রোগীদের সেবার মানকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার প্রতি আস্থা আরও কমে যাবে।  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়