শিরোনাম
◈ ভারতের বিধিনিষেধ সত্ত্বেও জুলাইয়ে বাংলাদেশি রপ্তানি আয় বেড়েছে ৪% ◈ কলকাতার বাণিজ্যমেলায় বাংলাদেশি স্টল, মিলছে সাড়া! ◈ বাংলাদেশে চাল রপ্তানির তোড়জোড় ভারতীয় সরবরাহকারীদের ◈ এবার বাংলাদেশ হয়ে আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি করতে চায় ভারত: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ যুদ্ধবিমান নিয়ে হাজির ট্রাম্প,ঘোল খাওয়ালেন পুতিন! ভিডিও ◈ ফারুকীর সর্বশেষ অবস্থা জানালেন তিশা ◈ প্রধানমন্ত্রী হলে থাকা যাবে না দলীয় প্রধানের পদে, জুলাই সনদের খসড়ায় আরও যা আছে ◈ হাসনাত-সারজিসসহ ৫ নেতার শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার ◈ দেশে আরেকটা বিপ্লব হতে পারে : রেজা কিবরিয়া ◈ ফরিদপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে পালিয়ে গেল কসাই!

প্রকাশিত : ১০ আগস্ট, ২০২৫, ০৫:৪৩ বিকাল
আপডেট : ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুমিল্লা মহানগরীর ৩১ টি স্থানে মাদকে সয়লাব

শাহাজাদা এমরান,কুমিল্লা : মাদকে সয়লাব শিক্ষা,সাহিত্য ও ক্রীড়ার পাদপীঠ হিসেবে পরিচিত কুমিল্লা মহানগরী। ফলে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ এবং ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পরিবার তথা গোটা জাতি। মাদকের করাল গ্রাসে নিমজ্জতি কুমিল্লা নগরীর অভিভাবকরা আজ দিশেহারা।

অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে কুমিল্লায় ৩১টি স্পটে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এসব পয়েন্টে সক্রয়ি রয়েছে দুই শতাধিক খুচরা মাদক বিক্রতো। অনকলে (মোবাইল ফোনে অর্ডার করলে) প্রতিটি স্পটেই অভিনব কায়দায় গ্রহিতার নিকট কাঙ্খতি মাদক পৌঁছে দেওয়া হচ্ছ।ে এ ক্ষেেত্র নেপথ্যে থাকা গডফাদাররা বাদাম, চানাচুর, চা বিক্রতো, অটোরিকশা চালক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হোম ডেলিভারি ম্যানদেরকে ব্যবহার করছে। এতে একদিকে পুলিশের টার্গেট বিচ্যুত হচ্ছ,ে অন্যদিকে অনায়াসেই আসক্তরে কাছে মাদক পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছ।

এদিকে পুলিশের নাকের ডগায় স্পর্শকাতর স্থান গুলোতে বসে মাদক বিক্রি এবং সেবন করা হলেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সচেতন মহলে নেতিবাচক প্রতিক্রয়িার সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে গত দুই মাসে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী গ্রফেতার হয়েছে। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুমিল্লা নগরীতে ক্রমেই বাড়ছে মাদকের বেচাকেনা। ৫ আগস্টরে গন অভ্যুত্থানের পর পুলিশের নাজুক অবস্থার সুযোগে মাদক বেচাকেনা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নগরীতে প্রতিনিয়তই মাদকের নতুন নতুন স্পট তৈরি হচ্ছ।ে মাদকের গডফাদাররা নেপথ্যে থেকে এসব স্পট পরিচালনা করছে। এতে মাদকের ভয়াল গ্রাসে আক্রান্ত হচ্ছে নগরীর যুব সমাজসহ বিভিন্ন শ্রণেীর লোকজন। এদিকে মাদকের বিস্তারে যেমন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিিতর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তেমনি সমাজে বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পাচ্ছ।ে তাছাড়া মাদক ঘিরে কিশোর গ্যাং তৎপরতাও বৃদ্ধি পাচ্ছ।

অনুসন্ধান বলছে, কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা, ধর্মসাগরপাড়, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, তালপুকুরপাড়, আশোকতলা, ছোটরা, বিসিক শিল্পনগরী, রেল স্টশেন, বাদশা মিয়ার বাজার, রামমালা সড়ক, হাড্ডেিখালা, টিক্কারচর, কাপ্তান বাজার মোড়, হাউজিং এস্টটে, কুচাইতলী, উত্তর চর্থা, দক্ষণি চর্থা, আশ্রাফপুর, ইয়াছিন মার্কেট, বাগানবাড়ি, রেসকোর্সের ধানমন্ড, পদুয়ার বাজার মোড়, সালমানপুর, চাঙ্গনিী মোড়, চকবাজার বাস স্ট্যান্ড, বজ্রপুর কলোনী, মুরাদপুর, মুঘলটুলী হোমিওপ্যাথি কলেজ মোড়, তেলিকোনা মোড়, গর্জন খোলা এলাকায় হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যাচ্ছ। ফোন করলেই খুচরা বিক্রতোরা গ্রাহকের কাছে মাদক পৌঁছে দিচ্ছ।ে তাছাড়া প্রায়ই এসব স্পটে মাদক নিয়ে ঘোরাফেরা করছে বিক্রতোরা। 

পুলিশের একাধিক সূত্র বলছে, উল্লিেখত স্পট গুলোতে পুলিশের নজরদারি থাকলেও অভিনব কায়দায় মাদক ব্যবসায়ীরা এসব স্থানে মাদক সাপ্লাই দিচ্ছ।ে অভিনব কৌশলে মাদক বিক্ররি বিষয়টি তাদের নজরদারিতে রয়েছে। এরই মধ্যে ক্রতো সেজে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা বেশকিছু মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রফেতার করলেও কোনভাবেই তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। 

এদিকে নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি কার্যালয় থাকলেও নগরীর মাদক ব্যবসা নিয়ে তাদের কোন কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। ইতিপূর্বে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিতর্কিত কর্মকর্তাদের কর্মকান্ডে নগরীতে এই কার্যালয়টি নিয়ে ব্যাপক নেতিবাচক সমালোচনা চলছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কিশোর মাদক সেবী বলেন, আমরা ধর্মসাগর ঈদগাহ এবং স্টিেডয়াম এলাকায় বসে নিয়মিত মাদক সেবন করি। অভিনব কায়দায় আমাদের কাছে মাদক পৌঁছে যায়। আমাদের কৌশল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ধরতে পারেনা।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ধর্মসাগর পাড়, নগর উদ্যান, ঈদগাহের পশ্চমি পাশের সড়ক, স্টিেডয়ামের জিমনেসিয়ামের পাশে, ঈদগাহ মাঠে, রেলওয়ে স্টশেনে নিয়মিত মাদকের আড্ডা বসায় এক শ্রণেীর বখাটে। পুলিশ তাদেরকে কেন আইনের আওতায় আনছে না তা বোধগম্য নয়। 

নগরীর তাল পুকুরপার এলাকার বাসিন্দা আবু সিদ্দকি বলেন, তালপুকুর পাড়ের আনাচে-কানাচে বসে প্রকাশ্যইে কিশোর গ্যাং সদস্যরা মাদক সেবন করছে। চা, বাদাম  ও চানাচুর বিক্রতো সেজে মাদক সাপ্লাই দিচ্ছ।

দক্ষণি চর্থা এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন আহমেদ বলেন, আমাদের এলাকায় গাঁজা ইয়াবা ফেনসিডিল প্রকাশ্যইে সেবন করা হয়। পুলিশ রাস্তায় টহল দিয়ে চলে গেলেও এসবের দিকে তাকায় না। আর আমরা নিরীহ মানুষ প্রতিবাদ করলে তো আমাদের প্রাণ থাকবে না। 

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ বজলুর রহমান বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। জনবল কম থাকায় কাঙ্খতি ফলাফল পাচ্ছি না। 

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। মাদকের ক্রতো বিক্রতো আটক করতে আমরাও বিভিন্ন সময় অভিনব কায়দায় অভিযান পরিচালনা করছি। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রণেও পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়