বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচার নিশ্চিত করতে চাওয়া সেই শ্রমিকলীগ নেতা নাজমুল হক ইমু (২৯) অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতা হতাহতের ঘটনায় একাধিক মামলার রয়েছে।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) দুপুরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া ছয়তলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব-৪ এর একটি আভিয়ানিক দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত নাজমুল হক ইমু (২৯) আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার বাবুল হোসেন ওরফে জসিমের ছেলে। তিনি আশুলিয়া থানা শ্রমিক লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও জাতীয় শ্রমিক লীগের আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সদস্য।
জানা যায়, গ্রেপ্তার নাজমুল হক ইমু দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রমিক লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এ ছাড়া তিনি আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ ভূইয়া ঘনিষ্ঠ সহযোগী। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গা ঢাকা দেন এই শ্রমিক লীগ নেতা। পরবর্তীতে কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেন তিনি। এরপরই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচার নিশ্চিত করতে চাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরে তিনি আবারও আত্মগোপনে চলে যান।
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ১ মিনিট ৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ১৫ আগস্টের একটি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দিচ্ছেন শ্রমিক লীগ নেতা নাজমুল হক ইমু। এ সময় তার বক্তব্য ইমু বলেন, গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক জিয়া বিদেশে লুকিয়ে আছে, লন্ডনে লুকিয়ে আছে। তাকে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে এনে বিচার করতে হবে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জিয়াউর রহমান শাস্তি না দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করেছেন বিদেশের এম্বাসিতে এবং এখনও তারা পালিয়ে আছে বিভিন্ন দেশে। তাদের বাংলাদেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
আশুলিয়ার থানার ওসি আব্দুল হান্নান বলেন, রাতে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। আজ দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। উৎস: দেশ রুপান্তর।