শিরোনাম
◈ মঙ্গলবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ ◈ উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: নিহতদের মধ্যে ৭ শিশুসহ আট জনের মরদেহ হস্তান্তর ◈ উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: দগ্ধদের সেবায় ডা. তাসনিম জারার ৭ পরামর্শ ◈ 'উত্তরা মাইলস্টোন কলেজ তৈরি করার সময় বাধা দেওয়া হয়েছিল' (ভিডিও) ◈ দগ্ধ শরীরে শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করা সেই শিক্ষিকার মৃত্যু ◈ রক্তের জন্য মাইকিং : বার্ন ইউনিটে কান্নায় ভারী পরিবেশ, স্বজনদের আহাজারি ◈ পোড়া বাচ্চাটি দৌড়াচ্ছে সবাই ভিডিও করছে কিন্তু ধরছে না! ◈ শাসক পাল্টিয়েছে, কিন্তু শাসনের চরিত্র বোধহয় পাল্টায়নি: তারেক রহমান ◈ আমার বলার কোনো ভাষা নেই, আগুনে পুড়ে যাওয়া শিশুদের মা-বাবাকে আমরা কী জবাব দেব: ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০২৫, ০১:০৮ রাত
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আবার বিতর্কে সিলেটের সেই মৌ, এবার সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে ধরা

সিলেটের সেই মৌ এবার সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে আটকা পড়েছে। পর্যটনস্পট বাইশটিলা থেকে বন্ধুদের নিয়ে ফিরছিল। এমন সময় এয়ারপোর্ট এলাকায় চলছিল সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট। সেই চেকপোস্টে আসার পর তার আচরণ রহস্যময় হওয়ায় আটক করা হয়। এ সময় হাতে থাকা সিগারেট ফুঁকছিলেন মৌ। কথাবার্তা ছিল অসংলগ্নও। ফলে সেনা সদস্যদের সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শনিবার গভীর রাতে মৌ আটক হন। রোববার দুপুরের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি জামিনে বেরিয়ে যান। মৌয়ের পুরো নাম সুমাইয়া আক্তার মৌ। সিলেটের আঞ্চলিক নাটকে এক সময় অভিনয় করতেন। রাতারাতি পরিচিতি পান তিনি। এরপর থেকে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড তাকে বারবার আলোচনায় নিয়ে আসে। এবারের ঘটনায় সিলেটে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে মৌ।

নাটকপাড়ার লোকজন জানান, উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনের কারণে মৌয়ের সঙ্গে এখন অনেকেরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বেপরোয়া আচরণের জন্য অনেকেই এখন তার ধারে-কাছে যান না। তবে বারবারই বন্ধু পাল্টান তিনি। এবার তিনি দুই বন্ধুসহ আটক হয়েছিলেন। সিলেট শহরতলীর বাইশটিলা। একটি পর্যটনস্পট। ডেটিংয়ের তীর্থস্থান বলা হয় ওই টিলাকে। আবার মাদকের আখড়াও। সেই বাইশটিলায় পর্যটকদের যাতায়াত থাকলেও রাতের আঁধারে কেউ থাকেন না। তখন ভিন্ন জগতে রূপ নেয় বাইশটিলা। সেই স্থান থেকে গভীর রাতে বন্ধুদের নিয়ে আসছিলেন মৌ। আসার পথে তিনি আটক হন। এয়ারপোর্ট থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, মৌকে শনিবার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর একটি টিম বাইশটিলা এলাকার চেকপোস্টে ধরেন। ওই নারী একটি গাড়িতে করে সিগারেট খেতে খেতে আরও কয়েকজন সঙ্গীর সঙ্গে আসছিলেন। এ সময় সেনাবাহিনী তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা সদুত্তর দিতে পারেনি। বিশেষ করে ওই নারী অসংলগ্ন কথা বলছিলেন।

এ ছাড়া, তার কাছে ঘুমের ওষুধ ও মাদক-সদৃশ্য দ্রব্য পাওয়া গেছে এবং তিনি উগ্র আচরণ করছিলেন। পরে সেনাবাহিনী সে ও তার দুই পুরুষ সঙ্গীসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মৌসহ আটক তিনজনকে দুপুরের পর আদালতে হস্তান্তর করা হয়। সুমাইয়া আক্তার মৌ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার স্বর্ণশিখা আবাসিক এলাকার ৫ নম্বর বাসার শাহেদ মিয়ার মেয়ে। তিনি অভিনেত্রী ও মডেল হিসেবে পরিচিত। ২০১৪ সাল থেকে তিনি আলোচনায়। ওই সময় তিনি তার দুই প্রেমিকসহ বন্দরবাজার থেকে গ্রেপ্তার হন। ২০১৪ সালের জুন মাসে সুমাইয়া আক্তার মৌ সিলেটের হাসান মার্কেটের ব্যবসায়ী সবুজ ও সাজুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন।

ওই সময় বেশ কয়েক মাস ওই দুই যুবকের সঙ্গে একযোগে প্রেম চালিয়ে যান। ওই সময় তার স্বামী নগরের কুমারপাড়ার বাসিন্দা কামরুল ইসলামের অজান্তে সবুজ ও সাজুকে নিয়ে মৌ অনেক স্থানে নির্জনে সময় কাটান। একপর্যায়ে সবুজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাগ বসানোর চেষ্টা করেন মৌ। এই বিষয় এবং মৌয়ের সঙ্গে সবুজ ও সাজুর ত্রিভুজ প্রেম নিয়ে ত্রিমুখী বিরোধ বাধে। এই বিরোধ প্রকাশ্যে আসে ২০১৪ সালের ১২ই জুন। সুমাইয়া আক্তার নেশার টাকা জোগাড় করতে তরুণ ও যুবকদের টার্গেট করেন। টাকা না পেলে মামলা- বিশেষ করে ধর্ষণ মামলা দেয়ার ভয় দেখান বলেও অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে শাহনেওয়াজ শাহিন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধেও তিনি নারী নির্যাতনের মামলা দিয়েছেন। যার কারণে শাহনেওয়াজ শাহিন বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। উৎস: মানবজমিন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়