রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত ও প্রাণহানির ঘটনায় শোক জানিয়েছে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এছাড়া শোক প্রকাশ করেছে ভারত, পাকিস্তান, জাপান ও সুইজারল্যান্ড।
সোমবার (২১ জুলাই) সামজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স ও ফেসবুকে দেওয়া শোকবার্তায় এই শোক জানানো হয়।
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির কার্যালয় এক শোকবার্তায় জানায়, জাতিসংঘ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে এবং এই দুঃখজনক পরিস্থিতিতে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে।
এতে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার ঘোষিত একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সঙ্গে জাতিসংঘ একাত্মতা প্রকাশ করছে এবং জরুরি অবস্থায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশন গভীর দুঃখ প্রকাশ করে এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জানিয়েছে, 'আমরা নিহত ও তাদের পরিবার এবং আহতদের সঙ্গে আছি।'
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সে দেওয়া বার্তায় লিখেছেন, ঢাকায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থীর প্রাণহানিতে তিনি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং ভারত বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলে জানান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এক্স পোস্টে বাংলাদেশে প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোক করে নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'এমন কঠিন মুহূর্তে পাকিস্তান বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে।'
ঢাকায় জাপান দূতাবাস এক শোকবার্তায় নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে।
জাপান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (অন্তর্বর্তী) নাওকি তাকাহাশি বলেন, 'মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ আমাদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
কারণ সম্প্রতি এটি জাইকার সঙ্গে যৌথভাবে প্রথম পিস ফ্লাওয়ার প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিল। এই কঠিন সময়ে আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা আন্তরিকভাবে কামনা করছি।'
ঢাকায় সুইজারল্যান্ড দূতাবাস ফেসবুকে জানিয়েছে, ঢাকায় একটি স্কুল ভবনের ওপর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা শোকাহত। দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি, তাদের পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি আমাদের সহানুভূতি রইল।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ওই বিমানের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন।
দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজের একটি ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে। এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় বৈমানিকসহ ২০ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়েছেন।