শিরোনাম
◈ মঙ্গলবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ ◈ উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: নিহতদের মধ্যে ৭ শিশুসহ আট জনের মরদেহ হস্তান্তর ◈ উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: দগ্ধদের সেবায় ডা. তাসনিম জারার ৭ পরামর্শ ◈ 'উত্তরা মাইলস্টোন কলেজ তৈরি করার সময় বাধা দেওয়া হয়েছিল' (ভিডিও) ◈ দগ্ধ শরীরে শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করা সেই শিক্ষিকার মৃত্যু ◈ রক্তের জন্য মাইকিং : বার্ন ইউনিটে কান্নায় ভারী পরিবেশ, স্বজনদের আহাজারি ◈ পোড়া বাচ্চাটি দৌড়াচ্ছে সবাই ভিডিও করছে কিন্তু ধরছে না! ◈ শাসক পাল্টিয়েছে, কিন্তু শাসনের চরিত্র বোধহয় পাল্টায়নি: তারেক রহমান ◈ আমার বলার কোনো ভাষা নেই, আগুনে পুড়ে যাওয়া শিশুদের মা-বাবাকে আমরা কী জবাব দেব: ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০২৫, ০৮:১৭ রাত
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পার্বতীপুর খামারপাড়া কমিউনিটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের বেহাল দশা

মোঃ রুকুনুজ্জামান, পার্বতীপুর দিনাজপুর: দিনাজপুরের পার্বতীপুর খামারপাড়া কমিউনিটি সরকারি প্রাইমারি স্কুল, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পরিদর্শনে নানা অনিয়ম দেখে সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেনকে শো-কজ করায় স্কুলে গিয়ে উচ্চস্বরে চিল্লা চিল্লি করে শিক্ষার পরিবেশ চরম বিঘ্ন ঘটায়।

বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন গত ২৮ মে ঐ স্কুল পরিদর্শনে যান এবং নানা অনিয়ম দেখে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দাখিল করতে নির্দেশ দেন সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেনকে। শো-কজের সাত দিন গত হলেও ঐ শিক্ষক কোন জবাব দাখিল করেনি। ফলে চলতি জুলাই মাসে শিক্ষক ফারুক হোসেনের বেতন বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি কোন বেতন উত্তোলন করতে পারেননি।

শো-কজের করায় বেতন ভাতা বন্ধ হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে হাজিরা খাতা চায় প্রধান শিক্ষক বলেন যে আপনি নির্দিষ্ট  জায়গায় স্বাক্ষর করবেন সে করতে ইচ্ছুক নয় তার কাছে জোরজবস্ত করতে থাকে, এক পর্যায়ে উচ্চস্বরে কথা বলে আশেপাশে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা সহকারী শিক্ষকরা আসে এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কলে দেড় বছরের শিশু আবু হুরায়রা ভয়ে কান্নায় জর্জিত হয়ে কাঁপতে থাকে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেশমা বেগম তাকে শান্ত হতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিকট যোগাযোগ করতে বলেন তা না শুনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে স্কুল  ত্যাগ করেন। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চায় না, নাম না প্রকাশের  অনেকে বলেন ফারুক মাস্টারের জন্য অনেকে ছেলেমেয়ে স্কুলে দিতে চায় না কারণ ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে শীলতাহানি অভিযোগ আছে তিনি একজন কু-চরিত্রের শিক্ষক যতদিন এই মাস্টার স্কুলে থাকবে ততদিন আশেপাশের অভিভাবকগণ তাদের ছেলেমেয়ে স্কুলে দিতে ইচ্ছুক নয়। তার জন্যই স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে শিক্ষক অভিভাবক ছাত্র ছাত্রী তাকে অনেক ভয় করে। 

ফারুক হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমার নামে আনিত অভিযোগ সব মিথ্যা নিয়মের বাহিরে আমি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে চাইলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না নেওয়ায়, আমি নতুনভাবে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করিতেছি।

এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক সোনালী ও শিরিন বলেন সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেশমা বেগম বলেন নিয়ম অনুযায়ী আপনি স্বাক্ষর করবেন তখন ফারুক হোসেন উচ্চস্বরে কথা বললে ম্যাডামের কোলে থাকা শিশু বাচ্চা ভয়ে কান্নায় কাঁদতে থাকে।

দায়িত্বে থাকা উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন জানান নানা অনিয়মের কারণে শো-কজ করা হলেও শো-কজের জবাব দেয়নি ফলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। 

অভিভাবকরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে  কিছু শিক্ষকের  নিয়ম অনিয়ম এর মধ্যেই চলছে স্কুলটি এভাবেই চললে শিক্ষা আর স্কুলের হবে বেহাল দশা। শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে নিয়ম আর অনিয়মের কারনে ঘটে যেতে পারে বিরাট দুর্ঘটনা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়