নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণ ও কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন বাংলাবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশনের কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। কর্মবিরতির কারণে রবিবার (২৯ জুন) বিকাল সোয়া ৩টা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে কোনো পণ্য প্রবেশ বা রফতানি হয়নি। কাস্টমসের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির কারণে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অচলাবস্থা অব্যাহত থাকবে।
স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থাকলেও কেউ দায়িত্ব পালন করেননি। দেখা গেছে, কাস্টমসের চেয়ারে কেউ বসছেন না, ফলে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকায় যাত্রী পারাপারে কোনো সমস্যা হয়নি।
এর আগে শনিবার (২৮ জুন) ভুটান থেকে পাথরবোঝাই ১৫১টি ট্রাক বাংলাবান্ধা বন্দরে প্রবেশ করলেও কাস্টমস ছাড়পত্র না পাওয়ায় ট্রাকগুলো বন্দরের ইয়ার্ডেই আটকে আছে। ফলে আমদানিকারক ও ট্রাকচালকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের বিভিন্ন ধরনের বাধার কারণে আগে থেকেই সমস্যা ছিল। এখন দেশের ভেতরে কাস্টমসের কর্মসূচির কারণে বন্দর ব্যবহারকারীরা নতুন করে বিপাকে পড়েছেন। এতে পণ্য সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার ইসাহাক জানান, কেন্দ্রীয় নির্দেশনার অংশ হিসেবে কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মকর্তারা। তবে সবাই অফিসে নিয়মিত উপস্থিত রয়েছেন। কর্মবিরতির কারণে সরকার যে রাজস্ব হারাচ্ছে সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, “রবিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো পণ্য আমদানি বা রফতানি হয়নি। শনিবার আমদানিকৃত ১৫১টি ট্রাক ছাড়পত্র না পাওয়ায় এখনও বন্দরের ইয়ার্ডে আটকে আছে। শুনেছি, বিকেলের মধ্যে কর্মসূচি প্রত্যাহার হতে পারে। সেক্ষেত্রে সোমবার (৩০ জুন) থেকে কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশা করছি।”
উল্লেখ্য, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানির একটি গু